ছোট পুঁজিতে এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যবসা শুরু করার উপায়
এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চান? এক্সপোর্টইম্পোর্টব্যবসা কিভাবে করা যায় আজ আপনাদের সাথে সে সম্পর্কে আজ বিস্তারিত আলোচনা করবো। এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংযোগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা হয়।
পেজ সূচিপত্র:ছোট পুঁজির বড় ব্যবসা- এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যবসা
- এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যবসা কি
- এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যবসা কেনো গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলাদেশের প্রধান এক্সপোর্ট ও ইম্পোর্ট পণ্য কি
- এক্সপোর্ট ও ইম্পোর্ট ব্যবসার নিয়ম
- কিভাবে এক্সপোর্ট ও ইম্পোর্ট ব্যবসা শুরু করবেন
- এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি
- তরুণ-তরুণীদের জন্য এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যবসা
- এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যবসায়ীদের ভবিষ্যৎ
- আমাদের শেষ কথা
এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যবসা কি
এক্সপোর্ট ও ইম্পোর্ট ব্যবসা হলো একটি দেশের মধ্যে পণ্য ও সেবা বিদেশে পাঠানো বা নিয়ে আসা। এক্সপোর্ট এর মাধ্যমে কোন দেশ নিজের উৎপাদিত পণ্য বিদেশে বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। আর ইম্পোর্ট এর মাধ্যমে বিদেশের একটি প্রয়োজনীয় পণ্য নিজেদের দেশে আনা এবং তা বাজারজাত করার পদ্ধতি।
বিশ্বায়নের ফলে এই যুগে ব্যবসা বাণিজ্য আর ছোট কোনো অবস্থানে নেই। এটি এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পণ্য কেনাবেচার যুদ্ধ শুরু গেছে। আর এই অংশে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশিরাও। তারাও এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যবসা করে অধিক মুনাফা আয় করছেন। আর বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির কারনে খুব সহজে এই ব্যবসা সহজেই করতে পারবেন।
এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যবসা কেনো গুরুত্বপূর্ণ
বাংলাদেশের প্রধান এক্সপোর্ট ও ইম্পোর্ট পণ্য কি
এক্সপোর্ট ও ইম্পোর্ট ব্যবসার নিয়ম
এক্সপোর্ট ও ইম্পোর্ট ব্যবসার জন্য প্রথমে মূলত আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে যে আপনি কোন পণ্য নিয়ে ব্যবসা করবেন। এমনকি আপনাকে এটাও জানা লাগবে দেশে কোন পণ্যের ঘাটতি রয়েছে এবং কোন পণ্য নিয়ে ব্যবসা করলে আপনি বেশি লাভবান হবেন। এক্ষেত্রে যারা নিয়মিত আমদানি করে থাকেন তাদের সাথে আপনার যোগাযোগ করতে হবে।
কিভাবে এক্সপোর্ট ও ইম্পোর্ট ব্যবসা শুরু করবেন
এক্সপোর্টইম্পোর্টব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজন সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ। কি পণ্য আমদানি বা রপ্তানি করবেন, কোন বাজার লক্ষ্য করেব্যবসাকরবেন তা নিয়ে একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। অবশ্যই এইব্যবসাশুরু করার পূর্বে আইনি অনুমোদন এবং নিবন্ধন করতে হবে। তারপর আপনাকে নির্বাচন করতে হবে যে আপনি কোন পণ্য নিয়েআমদানি বা রপ্তানি করবেন।
এরপর আপনাকে দেখতে হবে আপনার পণ্যটির চাহিদা কোন দেশে বেশি এবং আপনার এই প্রতিযোগিতামুলক বাজারে টিকে থাকার কৌশল নির্ণয় করতে হবে। বৈদেশিক বাইয়ার ও সাপ্লায়ার এর সাথে আপনার যোগাযোগ এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। আবার প্রতিটি দেশের শুল্ক ও কাস্টমস নিয়ম আলাদা তাই সে ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান রাখা প্রয়োজন।
এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি
তরুণ-তরুণীদের জন্য এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যবসা
তরুণ-তরুণীদের জন্য এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যবসা একটি বড় সুযোগ হতে পারে। বাংলাদেশে উদ্যমী তরুণ প্রজন্ম বিভিন্ন প্রজুক্তি নির্ভরব্যবসা গড়ে তুলেছে,এক্সপোর্টইম্পোর্টব্যবসাএর মধ্যে অন্যতম।এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যবসা করতে পারে কারণ আমরা আগেই জেনে আসছি যে অল্প পুঁজিতে ভালো পরিমাণের মুনাফা আয় করা যায় এই ব্যবসাতে।
যেহেতু ব্যবসা তাদের তাই তারা নিজেরাই নিজেদের বস এবং এর মাধ্যমে তারা নিজেরা নিজেদের সুন্দর ক্যারিয়ার নিশ্চিত করতে পারবে। তাই আমি মনে করি এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যবসা তরুণ-তরুণীদের জন্য দারুন একটা ব্যবসা আইডিয়া হতে পারে। এ ব্যবসায়ে সাধারণত ঝুঁকি কম থাকে আর মুনাফা বেশি থাকে। তাই চাইলে তারা নির্ভয়ে এই বব্যবসা শুরু করতে পারেন।
এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যবসায়ীদের ভবিষ্যৎ
এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যবসা একটি স্বাধীন ব্যবসা। একটি দেশের সকল চাহিদা কখনো সেই দেশটি একা পরিপূর্ণ করতে পারবেনা। তাই এই পৃথিবীতে মানুষ যতদিন আছে ততদিন এই এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যবসা চলতেই থাকবে। তাছাড়া এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যবসার ক্ষেত্রে আমাদের দেশে আর নতুন অনেক সুযোগ সুবিধা তৈরি হয়েছে।
সঠিক নিয়ম কানুন মেনে চললে এই এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যবসা নিয়ে আপনি অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারবেন।আন্তর্জাতিকবাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারলেএই দেশের ব্যবসায়ীরানিজেদের উন্নতির সাথেদেশকেও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমেসমৃদ্ধ করবে।এছাড়া এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ চুক্তি করেছে যে ভবিষ্যতে বাণিজ্য বাড়াতে সাহায্য করবে।
ছোট পুঁজিতে এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যবসা শুরু করার উপায় নিয়ে আমাদের শেষ কথা
এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যবসা মূলত এমন একটি ব্যবসা যা খুব কম পুঁজিতে শুরু করে ভালো একটি ভবিষ্যতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তাই আপনি যদি সঠিক নিয়ম কানুন মেনে চলে এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যবসা করেন তাইলে আপনার ভবিষ্যতে বড় কিছু করার আশা আছে। তাই এই ব্যবসা যে কেউ চাইলেই শুরু করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ব্লগার অ্যাকাউন্ট খুলবো?
মাই আর্টিকেল কুইল এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url