কি করে একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হওয়া যায়
কি করে একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হওয়া যায় সেটি জানতে চান তো? উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কি শুধু ইচ্ছা থাকলে হবে?- মোটেও না! তাইলে কিভাবে ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব চলুন জেনে নেই।
আপনি যদি সফল এবং ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হতে চান তবে আপনাকে জানতে হবে বেশ কিছু স্কিল। আজ আমরা এই আর্টিকেলে জানবো কি করে একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হওয়া যায়।
পেজ সূচিপত্র: কি করে একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হওয়া যায়
- একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হওয়ার আইডিয়া
- ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হওয়ার আইডিয়া জেনারেট
- একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তার মার্কেট এনালাইসিস পলিসি
- একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তার বিজনেস প্ল্যান
- একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তার ব্র্যান্ডিং করা
- একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তার মার্কেটিং পলিসি
- একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তার যে যে স্কিল গুলো প্রয়োজন
- আমাদের শেষ কথা
একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হওয়ার আইডিয়া
উদ্যোক্তা মানেই সৃজনশীলতা। এবং এর সাথে নতুন আইডিয়া, নতুন চিন্তা চেতনার
আবির্ভাব। একজন উদ্যোক্তাকে সমাধানের পথ খুঁজতে বের করতে হয়। তার এই সমাধান
এবিলিটি কোনো এক প্রকল্পে বাস্তবায়িত করে যেমন সাধারণের মুশকিল আসান করে তেমনই
নিজের জন্যও অনেক অর্থ ইনকাম করে। ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা রা এমন প্রকল্প করে যা
শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত লক্ষ্য পূরণ করেন না বরং সমাজের ও উপকার করে।
কিছু ভুলের কারণে ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে পারেনা। আজকে সেসব বিষয়
নিয়েই টুকটাক কথা বলবো ।একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হওয়ার আইডিয়া জেনারেট করা নিয়ে
কথা বলবো। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা জানতে
পারবেন কি করে একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হওয়া যায।
ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হওয়ার আইডিয়া জেনারেট
ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তার ক্রিয়েটিভ আইডিয়া সমাজের জন্য কল্যাণ নিয়ে আসে। তবে সফল
উদ্যোক্তা হওয়া কোনো সহজ কাজ না। একজন সফল উদ্যোক্তা তার ক্রিয়েটিভ চিন্তা কে যখন
প্রকল্পে রুও দেই তখন সেটা বিজনেস এ রূপ নেই। তার এই বিজনেস এ ঝুঁকিও রয়েছে।একজন
সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পর ও তিনি নিজের সাথে ঝুঁকি বহন করেন কারণ নতুন একজন
উদ্যোক্তা যখন তার নতুন চিন্তা ভাবনার আবির্ভাব হয় তখন তার বাস্তবায়িত রূপ অন্য
উদ্যোক্তার জন্য হুমকি ও হতে পারে।
তাই ইনোভেটিভ কিছু আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কি করে একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হওয়া যায় যেখানে আপনাদের ঝুঁকি কম কিন্তু
সফল হওয়ার চান্স বেশি।
- রিসাইকেল করা পণ্য তৈরী
- ই-লার্নিং প্লাটফর্ম
- স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক পরিষেবা
- কাস্টমাইজড পণ্য পরিষেবা
- ইনোভেটিভ হোম ডিজাইন পরিষেবা
- লোকসিল্পর ছবির মাটির পট তৈরী
- শিশু শিক্ষা ও বিনোদন মূলক কন্টেন্ট তৈরী
- গেম ডেভেলপমেন্ট
এই সকল ধরণের কাজের মাধ্যমে সফল উদ্যোক্তা হয়ে বিজনেস করা যাই এবং এতে ঝুকিও
কম।
একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তার মার্কেট এনালাইসিস পলিসি
ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তার জন্য মার্কেট এনালাইসিস খুবি গুরুত্বপূর্ণ। মার্কেট নলেজ
না থাকলে বেশিদিন টিকে থাকতে পারবেন না। আবার আপনার প্রকল্প এর চাহিদা মার্কেটে
না থাকলে আপনার বিজনেস রান করবে না। সুতরাং আপনার স্বার্থেই আপনাকে মার্কেট
এনালাইসিস করতে হবে। আপনার বিজনেস আইডিয়া যা আপনি জেনারেট করেছেন সেটির মার্কেট
ভ্যালু কেমন তা নিয়ে আপনাকে এনালাইসিস করতে হবে।
আপনার কম্পিটিটোর কে কে সেই বিষয় গুলা মাথায় নিয়ে সামনের দিকে আগাতে হবে। কি করে একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হওয়া যায় জানতে হলে আপনার
অডিয়েন্স এর চাহিদা কি বা কি করলে আপনার অডিয়েন্স লাভবান হবে তা এনালাইসিস করতে
হবে। তাই একটি বিজনেস রান করতে অবশ্যই আপনাকে চারিদিকে চোখ কান খুলা রেখে চলতে
হবে। মার্কেট পলিসি না জানলে আপনার বিজনেস ভালো জাইগায় নিয়ে যাওয়া অনেক মুশকিল
বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তার বিজনেস প্ল্যান
ভালো, গুছানো এবং সুন্দর-সফল বিজনেস এর জন্য একটা বিজনেস প্ল্যান প্রয়োজন।
প্ল্যান ছাড়া কোনো কিছু করলে তা কখনই সফলতা আনেনা। তাই আপনার বিজনেস শুরু করতে
হলে আপনার একটি বিজনেস প্ল্যান করতে হবে। আপনার অডিয়েন্স এর চাহিদা কি বা কি
করলে আপনার অডিয়েন্স লাভবান হবে তার প্ল্যান করতে হবে। আপনার অডিয়েন্স এর
চাহিদা কি বা কি করলে আপনার অডিয়েন্স লাভবান হবে তা প্ল্যান করতে হবে। আপনাকে
সঠিক একটি রুট বানাতে হবে কি করে একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হওয়া যায়।
এরপর আপনাকে আপনার বিজনেস এর অর্থনৈতিক ব্যাপার গুলি বুঝা লাগবে। কিভাবে কোথায়
কত টাকা খরচ করতে হবে তা নিয়ে একটা প্ল্যান করতে হবে। এছাড়াও সকল ধরণের প্ল্যান
করা লাগবে যেমন লোকবল, সার্ভিস, ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি সকল ব্যাপার এর একটা নোট
করে নিতে হবে। তাহলে বুঝলেন তো যে একজন সফল এবং ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হতে
হলে আপনাকে অবশ্যই বিজনেস প্লান সঠিকভাবে করতে হবে।
একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তার ব্র্যান্ডিং করা
আপনি যে বিজনেস প্ল্যান করছেন সেটিকে ব্র্যান্ডিং করতে হবে। ব্র্যান্ডিং এর
জন্য আপনার কোনো প্রফেশনাল এর সংস্পর্শে আসতে হবে। শুরুতে আপনার প্রোডাক্ট এর
সুন্দর একটি নাম দিতে হবে। আপনার প্রোডাক্ট এর লোগো বানাতে হবে। আপনার একটি
ওয়েবসাইট খুলে নিজের প্রোডাক্ট এর প্রমোশন করতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটার এর
মাধ্যমে নিজের ব্র্যান্ড প্রমোশন করতে হবে। ব্র্যান্ড কে রিপ্রেসেন্ট করে এমন
একটি ট্যাগ লাইন তৈরী করতে হবে।
বর্তমানে মানুষজন সোশ্যাল মিডিয়া তে সবচেয়ে বেশি একটিভ। কি করে একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হওয়া যায় তাই সোশ্যাল মিডিয়া তে
নিজের ব্র্যান্ডিং করতে হবে। এভাবে প্রমোশন করে নির্জরর ব্র্যান্ড কে দার করাতে
হবে। প্রপার ব্র্যান্ডিং ছাড়া মানুষের কাছে পৌঁছানো খুবি মুশকিল। তাই প্রফেশনাল
দের দিয়ে ব্র্যান্ডিং করেন।
একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তার মার্কেটিং পলিসি
আপনি যেই সেবা মানুষ কে প্রদান করবেন তা তো মানুষ কে জানাতে হবে। আপনার সার্ভিস
সম্পর্কে মানুষ জন কে অবগত করতে যা কিছু করা হয় তাই ই বিজনেস মার্কেটিং।
মার্কেটিং বিজনেস এর একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মার্কেটিং ছাড়া বিজনেস গ্রো
করেনা। তাই মার্কেটিং আর ব্র্যান্ডিং ব্যাপার তা খুবি গুরুত্ব সহকারে দেখা
দরকার। অনেকেই বিজনেস শুরু করার সময় একটি ভুল করে যার ফলে তাঁদের বিজনেস এ তারা
সফল হতে পারে না।
বিজনেস এ গ্রো করার জন্য তাই মার্কেটিং তা ভালো করে করতে হবে। আপনার প্রোডাক্ট
বা আপনার সেবা যেটা আপনি প্রদান করতে চাচ্ছেন তার ভালো দিক গুলি সকলের কাছে
জানাতে হবে। সকলের এই ব্যাপারে অবগত হলে তা আপনার বিজনেস এ হেল্পফুল হয়।
মার্কেটিং অনেক ধরণের হয়ে থাকে। অনেকে নেগেটিভ মার্কেটিং করে নিজের কোম্পানির
প্রচার করে। অনেকের মনে প্রশ্ন আসছে নেগেটিভ মার্কেটিং কি?
নেগেটিভ মার্কেটিং বিষয় টি আপনাকে বর্তমান একটা পেক্ষাপট দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা
করি,
আমাদের সকলের প্রিয় একটা কোল্ডারিং কোম্পানি যা আমরা বর্জন করেছি। তাঁদের কিছু
কর্মকান্ডের ফলে আমরা সাময়িক তাকে বর্জন করছি। কিছু এতে তাঁদের সম্পর্কে প্রায়
সকলেই অবগত হয়েছে। এটাই তাঁদের নেগেটিক মার্কেটিং । ওপরপক্ষে আরেকটা কোম্পানি
যাদের এই নেগেটিভ মার্কেটিং এর ফায়দা নিয়ে ইমোশনাল কন্টেন্ট বানাইয়ে ইমোশনাল
মার্কেটিং করে ফেলছে। এটাও আরেক ধরণের মার্কেটিং।
একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তার যে যে স্কিল গুলো প্রয়োজন
উদ্যোক্তা মানেই সৃজনশীলতা। এবং এর সাথে নতুন আইডিয়া, নতুন চিন্তা চেতনার
আবির্ভাব। একজন উদ্যোক্তাকে সমাধানের পথ খুঁজতে বের করতে হয়। একজন ক্রিয়েটিভ
উদ্যোক্তার এগুলা ছাড়াও আরো কিছু স্কিল এর প্রয়োজন আছে। ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তার
জন্য মার্কেট এনালাইসিস খুবি গুরুত্বপূর্ণ। কি করে একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হওয়া যায় সেটার উত্তর হলো মার্কেটিং নলেজ। মার্কেট নলেজ না থাকলে বেশিদিন টিকে
থাকতে পারবেন না।
আবার আপনার প্রকল্প এর চাহিদা মার্কেটে না থাকলে আপনার বিজনেস রান করবে না তাই
একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হতে গেলে মার্কেট এনালাইসিস করতে জানতে হবে। তাকে
মার্কেট এ কি প্রয়োজন বা গ্রাহক কি চাচ্ছে টা বুঝতে পারতে হবে। নিজের ব্র্যান্ড
বাকগ্রাউন্ড সম্পকে নলেজ থাকতে হবে। এই সব স্কিল গুলা একজন ক্রিয়েটিভ
উদ্যোক্তার থাকতে হবে।
আমাদের শেষ কথা
ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা দেশ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উদ্যোক্তা মানেই
হলো সৃজণশীল আইডিয়া নিয়ে নতুন কোনো কাজ করা।আপনি নিজের দক্ষতা, পরিশ্রম,
অভিজ্ঞতা, বাজার চাহিদা কে অনুসরণ করে নিজের সৃজণশীলতা কে কাজে লাগিয়ে নতুন
কিছু কাজ করতে পারেন যা সকলের জন্য মঙ্গলকর হবে।
ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা হওয়া
নিজের সাথে একটা চ্যালেঞ্জ এর মতো। কিছু সমস্যাআর নতুন কিছু সমাধান বের করেন।
সেটাকেই বিজনেস এ রূপ দেন এবং আপনি হয়ে জান একজন সফল উদ্যোক্তা।
মাই আর্টিকেল কুইল এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url