ওয়েবসাইটে SEO বাড়ানোর ১০টি কার্যকরী কৌশল

 

ওয়েবসাইটে SEO বাড়ানোর ১০টি কার্যকরী উপায় সম্পর্কে জানতে চান? ওয়েবসাইটে সুন্দর সুন্দর কনটেন্ট লিখার পরও আপনার ব্লগ র‍্যাংকিং বাড়ছে না? তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে SEO ( সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) করা নেই।

ওয়েবসাইটে SEO বাড়ানোর ১০টি কার্যকরী কৌশল

একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে প্রথমে আনতে আপনার ওয়েবসাইটকে অবশ্যই SEO করা লাগবে। তবে দেরি কিসের? চলুন জলদি জেনে নেই কিভাবে ও কি উপায়ে একটি ওয়েবসাইটে SEO করতে হয় ও এর কার্যকরী উপায় গুলো, 

পেজ সূচিপত্রঃ 

SEO কি

ওয়েবসাইটে SEO বাড়ানোর কৌশল জানার আগে আমাদের জানা উচিত SEO আসলে কি? SEO এর পূর্ণরূপ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যা আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চতর রাঙ্কিং পেতে সাহায্য করে, যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিক আসার সংখ্যা বেড়ে যায়। এছাড়া ভালোমতো SEO করতে পারলে আপনার ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে এবং গ্রাহকের সাথে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক ধরে রাখতে সাহায্য করে। SEO এর কিছু কৌশল হলো,
  1. পেজ লোড নেওয়ার টাইম দ্রুত হওয়া,
  2. মোবাইল ফ্রেন্ডলী থিম ডিজাইন করা,
  3. নেভিগেশন বার গুলো সহজ হওয়া,
  4. কীওয়ার্ড গবেষণা করা,
  5. মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করা ইত্যাদি।

ওয়েবসাইট SEO করতে কীওয়ার্ড গবেষণা করার পদ্ধতি কি

কীওয়ার্ড গবেষণার পূর্বে আমাদের জানা উচিত কীওয়ার্ড কি? কীওয়ার্ড হলো একটি শব্দ বা বাক্যাংশ যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা কিছু খোঁজার জন্য সার্চ ইঞ্জিনে টাইপ করে। একটি ব্লগ বা কনটেন্ট লিখার সর্বপ্রথম ধাপ হলো কীওয়ার্ড গবেষণা করা। আপনি যদি একটি সঠিক কীওয়ার্ড নির্বাচন করেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটিকে উচ্চতর র‍্যাংকিং পেতে সাহায্য করবে। তাইলে কীওয়ার্ড কি টা তো জানলাম। এখন চলুন জেনে নেই কি করে কীওয়ার্ড রিসার্চ বা গবেষণা করতে হয়।

১. প্রাথমিক কীওয়ার্ড তালিকা তৈরিঃ আপনি কোন টপিক বা ক্যাটাগরি নিয়ে লিখতে চান টা আগে সিলেক্ট করতে হবে। তারপর সার্চ ইঞ্জিনে সেটি সার্চ দিয়ে দেখতে হবে যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সেই টপিক দেখতে আগ্রহী কিনা। এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে কিভাবে বুঝবো যে তারা এই টপিক দেখতে আগ্রহী কিনা। তাহলে বলি,

  • আপনার কাঙ্ক্ষিত কীওয়ার্ড সার্চ ইঞ্জিনে দিয়ে যদি দেখেন সার্চ ইঞ্জিনে অটোমেটিক সেই টাইটেল টা দেখাচ্ছে তাহলে বুঝবেন যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এটা নিয়ে সার্চ করে থাকে।
  • আবার Ubersuggest - SEO and Keyboard Discovery নামের একটি ওয়েবসাইট যেয়ে Add to Chorme এ ক্লিক দিবে। তাহলে এটি আপনার ব্রাউজার এর সাথে অ্যাড হয়ে যাবে। তারপর আপনি যেই টপিক নিয়ে সার্চ করবেন সেই টপিক নিয়ে কতজন দিনে সার্চ করে সেটির সংখ্যা আপনাকে দেখিয়ে দিবে।

২. কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে টুলস ব্যবহার করাঃ কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে আপনি কিছু টুলস ব্যবহার করতে পারেন। যেমন,
  1. Ahrefs Keyword Generator,
  2. Google Keyword Planner,
  3. SEMrush,
  4. Ubersuggest .
এসব টুলস ব্যবহার করে আপনি জনপ্রিয় কীওয়ার্ড নিয়ে গবেষণা, সার্চ ভলিউম এবং প্রতিযোগিতা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে থাকে।

৩. লং টেইল কীওয়ার্ড নির্বাচন করুনঃ কীওয়ার্ড দুই প্রকার। শর্ট টেইল কীওয়ার্ড ও লং টেইল কীওয়ার্ড। শর্ট টেইল কীওয়ার্ড ১-২ শব্দের হয়ে থাকে। আর লং টেইল কীওয়ার্ড ৩ বা তার অধিক শব্দের হয়ে থাকে। লং টেইল কীওয়ার্ড নির্বাচন করার কারণ হলো এই কীওয়ার্ড গুলো তে প্রতিযোগিতা কম হয়। প্রতিযোগিতা কম হলে রাঙ্ক করার সম্ভাবনাও বেশি। এখন কি করে বুঝবেন কোন কীওয়ার্ড এ কেমন প্রতিযোগিতা। নিম্নের পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি এ ব্যাপারে জানতে পারবেন,

  • প্রথমে কীওয়ার্ডটি সার্চ ইঞ্জিনে লিখে সার্চ করুন। তারপর টুলস এ ক্লিক করুন। কতগুলো স্থানে সেই কথা টা নিয়ে লিখা হয়েছে টা দেখতে পাবেন। এই প্রসেসটি বুঝাতে স্ক্রিনশট নিম্নে দেওয়া হলো।

ওয়েবসাইটে SEO বাড়ানোর ১০টি কার্যকরী কৌশল
  • এবার আপনাকে দেখা লাগবে আপনার নির্বাচিত কীওয়ার্ড নিয়ে ওয়েবসাইটে কয়জন লিখেছে। তার জন্যে আপনার নির্বাচিত কীওয়ার্ড এর পূর্বে (allintitle:আপনার নির্বাচিত কীওয়ার্ড)  এভাবে লিখে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দিয়ে টুলস এ আবার ক্লিক দিবেন। কি প্রতিযোগীর সংখ্যা কমে গেলো তো? এটিই আপনার আসল প্রতিযোগী।

ওয়েবসাইটে SEO বাড়ানোর ১০টি কার্যকরী কৌশল
  • আপনার ওয়েবসাইটটি যদি একেবারে নতুন হয়ে থাকে তাহলে কিছু রুলস মানতে হবে। যেমন, আপনার পছন্দের কীওয়ার্ড এর যদি উপরের ২টি রুলস মেনে চলার পরও যদি দেখেন সেই কীওয়ার্ড নিয়ে আরো ৬-১০টি নিউজ পেপার ওয়েবসাইট লিখেছে তাহলে চোখ বন্ধ করে সেই কীওয়ার্ডটি বাদ দিয়ে দিন। কারণ নিউজ পেপার ওয়েবসাইট গুগলের কাছে এখন বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট। আর আপনার ওয়েবসাইট নতুন হলে তখন বিশ্বস্ত হতে পারেনি। তাই তাদের টা বাদ দিয়ে আপনার ব্লগকে গুগল জায়গা দিবেনা। আপনার ওয়েবসাইট এর বয়স ১-২ মাসের বেশি হয়ে গেলে আপনি সেসব কীওয়ার্ড নিয়ে লিখতে পারবেন। তখন কোনো সমস্যা হবেনা।
  • Google Analytics বা Google Search Console দিয়ে কীওয়ার্ড পারফরমেন্স প্রতিনিয়ত মনিটর করুন।

ওয়েবসাইট SEO করতে মানসম্মত কনটেন্ট কিভাবে লিখব

ওয়েবসাইট SEO করতে মানসম্মত কনটেন্ট কিভাবে লিখব? অনেকের এই প্রশ্ন থেকে যায়। মানসম্মত কন্টেন্ট লিখার জন্য আপনি যেই কীওয়ার্ড সিলেক্ট করেছেন সেই টপিক নিয়েই আপনাকে লিখা লাগবে। আপনি আম টপিক নিয়ে লিখতে গিয়ে বাঘ নিয়ে তো লিখতে পারবেন না তাইনা? আবার আপনার কনটেন্টটি যেনো কোনো ভাবে ১৮+ বা জুয়া নিয়ে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। এগুলো গুগল পলিসি এর বিরুদ্ধে যায়।
ওয়েবসাইট SEO করতে মানসম্মত কনটেন্ট কিভাবে লিখব
কনটেন্টটি এমনভাবে লিখবেন যাতে সেটি দৃষ্টিকটু না হয় আর অবশ্যই সুন্দর সুন্দর ফটো ইউজ করবেন ব্লগের মাঝে। আপনার লিখা সংক্ষিপ্ত এবং মূল্যবান হওয়া উচিত। প্রয়োজনে প্যারাগ্রাফ, হেডিং, সাব- হেডিং ব্যবহার করুন যাতে পাঠকদের পড়তে সুবিধা হয়। আর অবশ্যই চেষ্টা করবেন অন্য ওয়েবসাইটের থেকে ইউনিক ইনফর্মেশন আপানার ওয়েবসাইটে দিতে। এসব পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনার ব্লগ সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চতর র‍্যাংকিং এ যেতে সাহায্য করবে।

অনপেজ SEO কি এবং এর গুরুত্ব কি

অনপেজ SEO হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর অংশ যা ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেজকে র‍্যাংক করাতে সাহায্য করে। এটি সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র‍্যাংকিং করতে সহায়তা করে থাকে। এখন কথা হলো অনপেজ SEO কিভাবে করবো? চলুন তবে অপেক্ষা কিসের - জেনে নেই অনপেজ SEO এর নিয়ম কি,

১. পেইজের শিরোনাম ও মেটা বর্ণনাঃ পেইজের শিরোনাম বা মেটা বর্ণনা করলে পাঠকরা বুঝতে পারে পেজ এর বিষয়বস্তু ও এটির আকর্ষণীয়তা।

২. হেডিং এ কীওয়ার্ড ব্যবহার করাঃ আপনি যদি ব্লগ এর হেডিংয়ে হাই ভলিউমের কীওয়ার্ড ব্যবহার করেন তবে হেডিংয়ে দেওয়া কীওয়ার্ডটি যদি কি সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে আপনার ব্লগটি পাঠকের সামনে চলে আসবে। এতে আপনার ব্লগ সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চতর র‍্যাংকিং এ যেতে সাহায্য করবে।

৩. অন্য পেজ এর লিঙ্কিং প্রক্রিয়াঃ ইন্টারনাল লিঙ্কিং ব্যবহার করে আপনি একটা পেজ এর সাথে আরেকটি পেজ লিংক করতে পারবেন। এতে আপনার ভিউজ বাড়তে থাকবে এবং পাঠকরা অল্প সময়ে অন্য উপযুক্ত কনটেন্টে যেতে পারবে।

মোবাইল অপটিমাইজেশন কি এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলী ওয়েবসাইটের গুরুত্ব কি

মোবাইল অপটিমাইজেশন হলো একটি প্রক্রিয়া যা ওয়েবসাইটকে মোবাইল ডিভাইসে ব্যাবহারযোগ্য ও আকর্ষিত করে তোলা। এটি  SEO এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মোবাইল অপটিমাইজেশন নিশ্চিত করলে আপনার ওয়েবসাইটটি মোবাইল ডিভাইসে অনেক দ্রুত লোড হবে। বিশেষিত বর্তমানে ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীরা মোবাইল ডিভাইস ব্যাবহার করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করে থাকে। মোবাইল ফ্রেন্ডলী ওয়েবসাইটের গুরুত্ব অনেক বেশি এই জন্যই। এর গুরুত্ব তুলে ধরা হলো,

১. সহজ ও সুগম্য ব্রাউজিং তৈরি করাঃ মোবাইল ফ্রেন্ডলী ওয়েবসাইট ব্যাবহারকারীদের জন্য সহজ ও সুগম্য ব্রাউজিং তৈরি করে দেয় এবং বাউন্স রেট কমায়।

২. সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংকিং উন্নতি করেঃ মোবাইল ফ্রেন্ডলী ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনগুলি উচ্চতর র‍্যাংকিং করতে সহায়তা করে। মোবাইল অপটিমাইজেশনের অভাবে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইট অনেক নিচের দিকে চলে যাবে।

৩. ট্রাফিক বৃদ্ধি করেঃ  মোবাইল ফ্রেন্ডলী ওয়েবসাইট ব্যাবহারকারীদের ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।

৪. প্রতিযোগিতাতে এগিয়ে থাকাঃ অনেক ব্যাবসা এখনো মোবাইল ফ্রেন্ডলী নয়। তাই আপনার ওয়েবসাইটটি যদি মোবাইল ফ্রেন্ডলী হয় তাহলে আপনি প্রতিযোগিতাতে এগিয়ে যাবেন।

পেজ স্পিড কি করে বাড়াবো

অনেকের পেজ স্পিড নিয়ে সেভাবে ধারণা থাকেনা। তবে আপনার পেজ স্পিড যদি ঠিক না হয়ে থাকে তবে আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চতর র‍্যাংকিং এ যেতে পারবেনা। আচ্ছা পেজ স্পিড টা কি? পেজ স্পিড হলো, কতটা দ্রুত আপনার ওয়েবসাইটের পেজ লোড নিতে পারে। চলুন তবে পেজ স্পিড বাড়ানোর নিয়ম জেনে নেই,

১. ছবি অপটিমাইজেশনঃ ছবির ফরম্যাট হতে হবে Webp, jpg বা png. আর ছবির সাইজ হবে 50kb এর নিচে।

২. ব্রাউজার ক্যাচিংঃ আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুলো ব্রাউসার ক্যাচিংয়ে ভালোভাবে অপটিমাইজ করুন। 

৩. কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (CDN)ঃ CDN এর পূর্ণরূপ হল Content Delivery Network. এটি ব্যবহার করে আপনার কনটেন্ট গুলো গ্লোবাল সার্ভার নেটওয়ার্কের প্রসারিত করা যায়। এটি পেজ স্পিড বাড়াতে সাহায্য করে।
 
৪. CSS ও JavaScript মিনিফাই ও কম্প্রেস করুনঃ আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত CSS ও JavaScript মিনিফাই ও কম্প্রেস করুন। এতে আপনার ওয়েবসাইটের পেজ স্পিড বাড়াতে সাহায্য করবে।

একটি ব্লগে লিংক বিল্ডিং কি করে করবো

একটি ব্লগে লিংক বিল্ডিং কি করে করবো সেটি জানার আগে আমাদের জানা উচিত লিংক বিল্ডিং আসলে কি? লিংক বিল্ডিং হলো একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ এর অনলাইন মার্কেটিং প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের আপনার ওয়েবসাইট ও ব্লগ খুঁজে পেতে সুবিধা হয়। কিন্তু আমাদের লিঙ্ক বিল্ডিং এর সুবিধা বা উদ্দেশ্য টা কি? জানেন কি? চলুন তাহলে এক নজরে দেখে নেই ব্লগে লিংক বিল্ডিং করার সুবিধা বা উদ্দেশ্য,
  1. অথরিটি ও বিশ্বস্ততা বৃদ্ধি করা,
  2. সার্চ ইঞ্জিনের উচ্চতর র‍্যাংকিং এ নিয়ে যাওয়া,
  3. ট্রাফিক উত্তেজনা ও ভিজিটর পেতে সাহায্য করা ইত্যাদি।

SEO তে সামাজিক মিডিয়ার গুরুত্ব কি

সামাজিক মিডিয়া বলতে আমরা বুঝি Facebook, Twitter, Linkdin, Instagram, Pinterest ইত্যাদি। আপনি কি জানেন আপনার দৈনন্দিন ব্যবহৃত সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে SEO করতে পারবেন? জি ঠিকই পড়েছেন, আপনার দৈনন্দিন ব্যবহৃত জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে SEO করতে পারবেন। তবে চলুন জেনে নিই কি করে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার করে আপনি SEO করতে পারবেন,

১. সামাজিক মিডিয়াতে আপনার ওয়েবসাইট লিংক এড করাঃ আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের লিংক এড করেন তবে এটি আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক পাঠাতে সাহায্য করবে।

২. সামাজিক মিডিয়াতে আপনার ওয়েবসাইট কনটেন্ট লিংক শেয়ার করাঃ সামাজিক মিডিয়াতে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট নিউজ শেয়ার করলে আপনার কনটেন্টের পরিচিতি বাড়াতে সুবিধা হয় এবং এ কনটেন্ট ভাইরাল হতে সাহায্য করে। যা আপনার ওয়েবসাইডে ভিউজ বাড়াতে সাহায্য করবে। 

কিভাবে লোকাল SEO করবো

কিভাবে লোকাল SEO করবো সেটা জানার পূর্বে আপনাকে জানতে হবে লোকাল SEO কি। লোকাল SEO হল একটি ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি যাকে নির্দিষ্ট শহর বা অঞ্চলে স্থায়ী ব্যবসার প্রসারের জন্য ব্যবহৃত হয়। লোকাল SEO এর মূল উদ্দেশ্যটা কি? আপনি কি জানেন? লোকাল SEO যে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যবহৃত হয় তা হলো,
  1. লোকাল সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাংকিং বাড়ানো,
  2. স্থানীয় কাস্টমারদের কাছে পণ্য ও পরিষেবা প্রচার করা।
ওয়েবসাইটে SEO বাড়ানোর ১০টি কার্যকরী কৌশল
এবার চলুন তবে জানি কি করে লোকাল SEO করবো,

১. Google My Business অ্যাকাউন্ট তৈরি করুনঃ আপনার ওয়েবসাইটটি যদি বিজনেসের জন্য হয় তবে Google My Business এ অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। আপনার নাম, ঠিকানা, কাজের সময় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে সঠিকভাবে অ্যাকাউন্টটি তৈরি করুন।

২. স্থানীয় কিওয়ার্ড গবেষণা করুনঃ আপনার নির্দিষ্ট শহর বা অঞ্চলের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা কি কিওয়ার্ড সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে তা নিয়ে গবেষণা করুন এবং সে বিষয় কনটেন্ট লিখুন। 

৩. রিভিউ ও মন্তব্যঃ আপনার স্থানীয় কাস্টমারদের অনুরোধ করুন আপনার ব্যবসা সম্পর্কে রিভিউ ও মন্তব্য লিখতে। এটি আপনার লোকাল SEO এর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

৪. সামাজিক মিডিয়াতে প্রচারঃ সামাজিক মিডিয়াতে প্রচারের মাধ্যমে আপনার পরিচিতি বাড়াতে সাহায্য করবে। আপনি যদি আপনার ঠিকানা উল্লেখ করেন তবে স্থানীয় কাস্টমারদের মধ্যে আপনার পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে আপনার লোকাল সার্চ ইঞ্জিনের র‍্যাংকিং বাড়বে।

কনটেন্ট তাজা রাখতে নিয়মিত আপডেট করার নিয়ম

পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত টপিক আপডেট হতেই থাকে। তাই আপনি আজ যেই কনটেন্ট লিখলেন তা কিছুদিন পর যে আবার আপডেট করতে হবে। যদি আপডেট আপনি দিতে না পারেন তাহলে আপনার পোষ্টের র‍্যাংকিং পিছাতে থাকবে। তাই আপনার উচিত সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আপনার কনটেন্টকে তাজা ডাকতে নিয়মিত আপনার কনটেন্টকে আপডেট করা। যার ফলে আপনার কনটেন্টটি SEO হতে সাহায্য করবে।


ওয়েবসাইটে SEO বাড়ানোর ১০টি কার্যকরী কৌশল সম্পর্কে লেখকের বক্তব্য

SEO করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চতর র‍্যাংকিং এ রাখা। আপনার ওয়েবসাইটে যদি সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চতর র‍্যাংকিং এ থাকে তাহলে পাঠকদের আপনার ওয়েবসাইট পেতে অনেক সহজ হয়ে যায়। যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর ও ট্রাফিকের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের প্রসার ঘটে। আপনার ওয়েবসাইটটি যদি সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় না হয় থাকে তাহলে কি কোন ধরনের লাভ আশা করা যায়? 

ভিসিটর যদি আপনার ওয়েবসাইটে না আসে তাহলে আপনার ওয়েবসাইট কোনভাবেই র‍্যাংকিং করবে না। তাই ওয়েবসাইটকে সঠিকভাবে SEO করা উচিত। আমরা এই আর্টিকেলে বুঝানোর চেষ্টা করেছি আপনার ওয়েবসাইটি কি করে র‍্যাংকিং করতে পারবে। আর র‍্যাংকিং করার উপায় হল আপনার ওয়েবসাইট কে SEO করা। আশা করি আর্টিকেল এর আইডিয়াগুলো আপনার ওয়েবসাইটকে র‍্যাংক করাতে সাহায্য করবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Kibri
    Kibri August 13, 2024 at 3:59 AM

    অনেক ইনফরমেটিভ ❤️ ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাই আর্টিকেল কুইল এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url