কি-ওয়ার্ড কি? SEO তে কি-ওয়ার্ড কতটা গুরুত্বপূর্ণ
কি-ওয়ার্ড কি, কিভাবে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করে, SEO তে কি-ওয়ার্ড কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই সম্পর্কে আমাদের জেনে থাকা জরুরী। কারণ কি-ওয়ার্ড কে বলা যায় SEO বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর হৃৎপিণ্ড।
আপনি যদি ব্লগিং বা ইউটিউবিং বা ইন্টারনেটে পোস্ট করা শুরু করতে চান আপনাকে বিস্তারিত জানতে হবে কি-ওয়ার্ড সম্পর্কে। তাহলে আমার আজকের ব্লগপোস্টে আপনি যা যা জানতে পারবেন,
পেজ সূচিপত্র:
- কি-ওয়ার্ড কি
- SEO তে কি-ওয়ার্ড কতটা গুরুত্বপূর্ণ
- SEO কি-ওয়ার্ড রিসার্চ কি
- কিভাবে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করে
- কি-ওয়ার্ডের প্রকারভেদ
- কি-ওয়ার্ড বাছাই
- একটি পোস্টে কি-ওয়ার্ড ডেনসিটি এবং অবস্থান কেমন হওয়া উচিত
- কি-ওয়ার্ডের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
- কি-ওয়ার্ড এর জন্য সেরা ১০টি কি-ওয়ার্ড রিসার্চ টুলস
- কি-ওয়ার্ড নিয়ে লেখকের বক্তব্য
কি-ওয়ার্ড কি
কি-ওয়ার্ড হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর একটি মৌলিক পরিষেবা যা
ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য অনলাইন প্রসারনের জন্য ব্যবহৃত হয়। সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে
বলা যায়, কি-ওয়ার্ড হলো সেই শব্দ গুলো যা অনলাইনে সার্চ করে মানুষ বা ট্রাফিক
তাদের কাঙ্ক্ষিত সম্ভাবনামুলক পোস্টগুলো খুঁজে পায়। কি-ওয়ার্ড হচ্ছে এমন
জিনিস যার মাধ্যমে একটি আর্টিকেল, ব্লগপোস্ট বা বিভিন্ন ধরনের তথ্য খুঁজে বের করা
হয়।
অনপেজ SEO করতে কি-ওয়ার্ড এর কোনো বিকল্প হয়না। যেমন ধরুন আপনি এখন আমার এই
পোস্টটি পড়ছেন। আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন আমার পোস্ট টাইটেল দেখলেই আপনি
বুঝতে পারছেন আমি এই পুরো পোস্ট টিতে কি নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি বা কি নিয়ে কথা
বলবো। এই কয়েকটি ওয়ার্ডের মাধ্যমে আপনাদের আমার পুরো পোস্ট সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার
যে কাজটি করেছে সেটিই কি-ওয়ার্ড।
মানুষ তাদের প্রশ্নের সাথে প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট খুঁজে পেতে এই কি-ওয়ার্ড খেয়াল
করেন। কি-ওয়ার্ড যদি তাদের প্রশ্নের সাথে রিলেটেড না হয় তাহলে সে আপনার পোস্টে
আসবে না বা আপনার পোস্ট পড়বে না। কি-ওয়ার্ড দিয়ে আপনাকে আপনার কনটেন্ট পড়তে
আপনাকে আপনার ট্র্যাফিক কে বাধ্য করতে হবে। তাই আপনার কনটেন্ট এর মূল থিম
কি-ওয়ার্ড এর মাধ্যমে প্রকাশ করুন।
কি-ওয়ার্ড বা ওই সব শব্দ সার্চ এর মাধ্যমে ট্র্যাফিক (মানুষ) আপনার তথ্যবহুল
পোস্ট টি খুঁজে পাবে। ইন্টারনেটে বা গুগলে কি-ওয়ার্ড সার্চ করেই আপনার পোস্টের
সন্ধান পাবে। কি-ওয়ার্ড রিসার্চ ছাড়া আপনার ব্লগপোস্ট কিংবা আপনার ইন্টারনেটে
পোস্ট করা যেকোনো কিছুই র্যাঙ্ক করবে না। তাই অন পেজ SEO করার জন্য কি-ওয়ার্ড ও
কি-ওয়ার্ড রিসার্চ টুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো ডিজিটাল মার্কেটার এর জন্য
কি-ওয়ার্ড খুব গুরুত্ব বহন করে।
SEO তে কি-ওয়ার্ড কতটা গুরুত্বপূর্ণ
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) তে কি-ওয়ার্ড অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কি-ওয়ার্ডের
সঠিক ব্যবহার আপনার ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্কিং এ উপরে নিয়ে আসতে সহায়তা করে, যা
আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনতে সাহায্য করবে। কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে সার্চ
ইঞ্জিনগুলো ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা পায় এবং সেই অনুযায়ী
ওয়েবসাইটে র্যাঙ্ক করে। তাহলে চলুন জেনে নেই SEO তে কি-ওয়ার্ড কতটা
গুরুত্বপূর্ণ,
- সঠিক কি-ওয়ার্ডের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েব পেজগুলো খুঁজে পেতে আর র্যাঙ্ক করতে সহজ হয়।
- কি-ওয়ার্ড সঠিকভাবে ব্যবহার করলে কনটেন্টের বিষয়বস্তু স্পষ্ট হয়।
- সঠিক কি-ওয়ার্ডের ব্যবহার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক অর্থাৎ দর্শককে আকর্ষিত করে যা ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্ক করতে সাহায্য করে।
- কি-ওয়ার্ডগুলো টাইটেল, মেটা ডেসক্রিপশন, হেডিং, কনটেন্ট এবং URL এর সঠিক ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিনে খুব সহজে কনটেন্টটি পাওয়া যায় এবং র্যাঙ্ক করানো সম্ভব।
SEO কি-ওয়ার্ড রিসার্চ কি
SEO কি-ওয়ার্ড রিসার্চ হলো সঠিক কি-ওয়ার্ড খুঁজে বের করার একটি প্রক্রিয়া।
রিসার্চ করার মাধ্যমে আমরা এমন একটি কি-ওয়ার্ড নির্বাচন করবো যা আসলে
ব্যবহারকারীরা অনুসন্ধান করে থাকে। এভাবে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করে আমরা ওয়েবসাইটে
কনটেন্ট গুলো তৈরি করে থাকি সার্চ ইঞ্জিনের র্যাঙ্ক পাওয়ার উদ্দেশ্যে।
কি-ওয়ার্ড রিসার্চের মূল উদ্দেশ্য হলো এমন একটি কি-ওয়ার্ড খুঁজে বের করা যার
সার্চ ভলিউম বেশি এবং প্রতিযোগিতা কম।
কিভাবে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করে
নতুন কিছু খোঁজ বা অনুসন্ধান করাকেই রিসার্চ বলে। কি-ওয়ার্ড রিসার্চ হলো সেই
প্রক্রিয়া যা করে ওয়েবসাইট অথবা অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্মের জন্য সম্ভাব্য
কি-ওয়ার্ড গুলো খুঁজে বের করা হয়। সাধারণত অনেক ধরনের টুলস ব্যবহার
করে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করা হয় এর ফলে SEO বেশি কার্যকরী হয়। কি-ওয়ার্ড রিসার্চ এর মূল লক্ষ্য আপনার কি-ওয়ার্ড যেন সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক হয়। কি-ওয়ার্ড রিসার্চ একটু ঝামেলার কাজ।
কি-ওয়ার্ড সঠিকটি বাছায় করে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্র্যাফিক পাওয়ার কাজটি অনেকটাই
টেকনিক্যাল। আসুন তাই আজ জেনে নেই কিভাবে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করে। কি-ওয়ার্ড সিলেক্ট করতে বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে-
- কি-ওয়ার্ড সার্চ ভলিউম
- কি-ওয়ার্ড কম্পিটিশন
- কি-ওয়ার্ড CPC
- SEO ম্যাট্রিক্স
এইগুলো ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরণের গুগল সেবা আমরা পেতে পারি কি-ওয়ার্ড সিলেক্ট
করতে পারি। আসুন আমরা এখন উপরোক্ত টার্মস গুলা সম্পর্কে জেনে নেয়।
কি-ওয়ার্ড সার্চ ভলিউম:
কি-ওয়ার্ড সার্চ ভলিউম(key-word search volume) হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে
একটি কি-ওয়ার্ড বা কি-ফ্রেজ যা কতবার সার্চ ইঞ্জিন এ কতবার অনুসন্ধান করা হয়েছে
তার পরিসংখ্যান। কি-ওয়ার্ড ভলিউম যত বেশি হবে আপনার পোস্ট র্যাঙ্ক করার
পসিবিলিটি ততোই বৃদ্ধি পাবে। সাধারণত এটি প্রত্যেক মাসের একটি পরিসংখ্যান
দেয়।ডিজিটাল মার্কেটিং এ ভলিউম এর গুরুত্ব অপরিসীম।
কি-ওয়ার্ড কম্পিটিশন:
কি-ওয়ার্ড কম্পিটিশন(key-word competition) হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে
একটি কি-ওয়ার্ড বা কি-ফ্রেজ যা সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ(SERP) তে স্থান পাওয়ার
জন্য যে কম্পিটিশন তার মাত্রা প্রদর্শন করে।
কি-ওয়ার্ড CPC:
কি-ওয়ার্ড CPC (Cost Per Click) হলো একটি নির্দিষ্ট কি-ওয়ার্ড ক্লিক এর জন্য খরচ।
অর্থাৎ আমাদের পোস্ট এ প্রত্যেক ক্লিক এর জন্য আমরা যে টাকা পাবো
সেটাই কি-ওয়ার্ড CPC। এটি সাধারণত বিজ্ঞাপন এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যেমন:
Google Ads ইত্যাদি। CPC নির্ধারণ করে বিজ্ঞাপনদাতারা।
SEO ম্যাট্রিক্স:
SEO ম্যাট্রিক্স হলো বিভিন্ন সকল প্রকার SEO মানদন্ড। SEO ম্যাট্রিক্স এক্সটেনশন
অ্যাড করে আমরা কি-ওয়ার্ড এর র্যাঙ্ক করার সকল ধরণের তথ্য পেতে পারি। SEO
ম্যাট্রিক্স সামগ্রিক পারফরমেন্স প্রদর্শন করে থাকে। SEO ম্যাট্রিক্স এর বেশ কিছু
ধাপ আছে যা নিয়ে অন্য কোথাও আলোচনা করবো।
কি-ওয়ার্ডের প্রকারভেদ
কি-ওয়ার্ড কত প্রকার এবং সেগুলো কি কি, সেটি জানা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সঠিক কি-ওয়ার্ড নির্বাচন করতে পারলে আপনার ওয়েবসাইটে
ট্রাফিক ও সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্কিং ভালো পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়াতে
কি-ওয়ার্ড এর ব্যবহার জানা খুবই জরুরি। কারণ কি-ওয়ার্ড হচ্ছে এমন জিনিস যার
মাধ্যমে একটি আর্টিকেল, ব্লগপোস্ট বা বিভিন্ন ধরনের তথ্য খুঁজে বের করা হয়। চলুন
তবে বিস্তারিত জেনে নেই কি-ওয়ার্ড এর প্রকারভেদ,
শর্ট টেইল কি-ওয়ার্ড:
এ ধরনের কি-ওয়ার্ড সাধারণত ১ থেকে ২ শব্দের মধ্যে হয়ে থাকে। তবে শর্ট টেইল
কি-ওয়ার্ড এ প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। তাই এই কি-ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে ভালো
রাঙ্ক করা খুবই কঠিন। শর্ট টেইল কি-ওয়ার্ড এর উদাহরণ: মোবাইল, এসইও কি? ইত্যাদি।
লং টেইল কি-ওয়ার্ড:
লং টেইল কি-ওয়ার্ড সাধারণত ৩ বা তার অধিক শব্দের হয়ে থাকে। এ ধরনের কি-ওয়ার্ড
নিয়ে কাজ করলে ভালো রাঙ্ক করানো সম্ভব কারণ প্রতিযোগিতা কম। লং টেইল কি-ওয়ার্ড
এর উদাহরণ: ওয়েবসাইটে এসইও বাড়ানোর উপায়, কিভাবে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করে
ইত্যাদি।
মূলত কি-ওয়ার্ড এর এই ২টিই মৌলিক প্রকারভেদ। তবে এ ছাড়াও আরো কিছু কি-ওয়ার্ড
আছে। চলুন সেগুলো বিস্তারিত জেনে নেই,
শর্ট-টার্ম ফ্রেশ কি-ওয়ার্ড:
শর্ট-টার্ম ফ্রেশ কি-ওয়ার্ড হলো এমন এক ধরনের কি-ওয়ার্ড যা কিছু সময়ের জন্য
জনপ্রিয়তা পায়। উদাহরণ: ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২, ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩।
লং-টার্ম এভারগ্রীন কি-ওয়ার্ড:
লং-টার্ম এভারগ্রীন কি-ওয়ার্ড হলো এক ধরনের কি-ওয়ার্ড যা সব সময়ের জন্য
জনপ্রিয় হয়ে থাকে। উদাহরণ: চুলের যত্ন, ত্বকের যত্ন।
জিও-টার্গেটেড কি-ওয়ার্ড:
জিও-টার্গেটেড কি-ওয়ার্ড একটি নির্দিষ্ট জায়গা বা অঞ্চলকে টার্গেট বা লক্ষ্য
করে। উদাহরণ: রাজশাহীর রেস্টুরেন্ট, নিউইয়র্কের রেস্টুরেন্ট।
ব্র্যান্ডেড কি-ওয়ার্ড:
ব্র্যান্ডেড কি-ওয়ার্ড হলো কোনো একটি ব্র্যান্ডের নাম নিয়ে কি-ওয়ার্ড। উদাহরণ:
আইফোন, নাইকি সু।
প্রোডাক্ট কি-ওয়ার্ড:
নির্দিষ্ট পণ্য ও সেবার নাম দিয়ে কি-ওয়ার্ড। উদাহরণ: আইফোন ১৫, স্যামসাং এ৫০।
কি-ওয়ার্ড বাছাই
কি-ওয়ার্ড বাছাই করা সহজ মনে হলেও এটি খুব একটা সহজ কাজ নয়। কি-ওয়ার্ড বাছাই খুব
ঠান্ডা মাথায় করা লাগে। কারণ এটাই আপনার আমার সবার পোস্টটির মূল বিষয়। মানুষ
আপনার পোস্ট পড়ার আগেই আপনার টাইটেল দেখবে। সুতরাং সেটি যদি ভালো না হয় বা পাঠক
এর যদি আগ্রহ না হয় তাহলে আপনার সকল কষ্ট বৃথা। তাই কি-ওয়ার্ড বাছাই এর ক্ষেত্রে
আপনাকে সতর্ক হতে হবে এবং বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করতে হবে।
যত ছোট কি-ওয়ার্ড হবে ততো কি-ওয়ার্ড জনপ্রিয়টতা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এগুলি কে
শর্ট টার্ম কি-ওয়ার্ড ও বলে। তবে এই শর্ট টার্ম কি-ওয়ার্ড এর প্রতিযোগিতা অনেক
বেশি। তাই আপনাকে একটু ভেবে চিন্তে বুঝতে হবে। কি-ওয়ার্ড সার্চ করে কতজন এই বিষয়
সম্পর্কে লেখালেখি করেছে সেটি দেখে নিতে হবে। পূর্বের সংখ্যা যত কম হবে আপনার
পোস্ট র্যাঙ্ক করার সুযোগ ও সম্ভাবনা ততো বাড়বে।
একটি পোস্টে কি-ওয়ার্ড ডেনসিটি এবং অবস্থান কেমন হওয়া উচিত
একটি পোস্টে কি-ওয়ার্ড ডেনসিটি এবং অবস্থান কেমন হওয়া উচিত সে ব্যাপারে অনেকের
ধারণা নাই বললেই চলে। কিন্তু আপনারা কি জানেন কি-ওয়ার্ড ডেনসিটি এবং অবস্থান
ঠিকমতো প্রয়োগ না করলে আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে
পারে। তাই অবশ্যই একটি কনটেন্টকে SEO ফ্রেন্ডলি করার জন্য আপনাকে কিছু রুলস
অনুসরণ করতে হবে। চলুন তবে বিস্তারিত জেনে নেই,
- কি-ওয়ার্ড ডেনসিটি: কি-ওয়ার্ড ডেনসিটি বলতে বুঝায়,
- প্রতি ১০০ শব্দে ১-২ বার কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত।
- কি-ওয়ার্ড এমনভাবে ব্যবহার করা উচিত যাতে ব্যবহারকারীদের জন্য সেটি আকর্ষণীয় হয়।
- অতিরিক্ত কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করা এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এটি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
- কি-ওয়ার্ডের অবস্থান: কি-ওয়ার্ডের অবস্থান যেমন হওয়া উচিত,
- শিরোনাম বা টাইটেলে কি-ওয়ার্ড: শিরোনাম বা টাইটেল এ কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য খুঁজে পেতে সুবিধা হয়।
- শুরু ও শেষের অনুচ্ছেদ: শুরু ও শেষের অনুচ্ছেদে অবশ্যই কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত।
- হেডিং বা সাবহেডিং: হেডিং বা সাউ হেডিং এ অবশ্যই কি-ওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
- ইমেজ অ্যালট টেক্সট: ইমেজ অ্যালট টেক্সটে কি-ওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
- পারমালিংক: পেরমালিংকে কি-ওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
কি-ওয়ার্ডের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
কি-ওয়ার্ডের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনেক। মূলত কনটেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
(SEO), ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বেশি। কি-ওয়ার্ডের
সঠিক ব্যবহার আপনার ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্কিং এ উপরে নিয়ে আসতে সহায়তা করে, যা
আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনতে সাহায্য করবে। চলুন তবে জেনে নেই কি-ওয়ার্ডের
গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা কি কি,
- সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্কিং বাড়ায়: সঠিক কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিনে কনটেন্টটি সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।
- কনটেন্টের বিষয়বস্তু স্পষ্ট করে: কি-ওয়ার্ড সঠিকভাবে ব্যবহার করলে কনটেন্টের বিষয়বস্তু স্পষ্ট হয়।
- ট্রাফিক বৃদ্ধি করে: কি-ওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার করতে পারলে ওয়েবসাইটে বেশি ট্রাফিক আনা সম্ভব, কারণ সঠিক কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ বাড়ে।
- বাজার বিশ্লেষণ: কি-ওয়ার্ড নিয়ে গবেষণা করলে জানা যায় ব্যবহারকারীদের চাহিদা আসলে কি।
কি-ওয়ার্ড এর জন্য সেরা ১০টি কি-ওয়ার্ড রিসার্চ টুলস
কি-ওয়ার্ড এর জন্য সেরা ১০টি কি-ওয়ার্ড রিসার্চ টুলস সম্পর্কে সকলের জেনে রাখা
উচিত। কারণ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কি-ওয়ার্ড বের করা সকলের পক্ষে সম্ভব না। কিছু
কি-ওয়ার্ড টুলস আছে যা ব্যবহার করে আমরা কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবো। শুধু
তাই নয় এই টুলস গুলো কনটেন্ট স্ট্রাটেজি ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
কার্যক্রমে সহায়তা করে থাকে। কি-ওয়ার্ড এর জন্য সেরা ১০টি কি-ওয়ার্ড রিসার্চ
টুলস হলো,
- Google Keyword Planner,
- Ubersuggest,
- Ahrefs Keywords Explorer,
- SEMrush,
- Long Tail Pro,
- SpyFu,
- Google Trends,
- WordStream,
- Keyword Surfer,
- SECockpit
এই টুলসগুলো ব্যবহার করে আপনারা আপনাদের কনটেন্টগুলো ও সার্চ ইঞ্জিন
অপটিমাইজেশন (SEO) কে আরো বেশি কার্যকর ও সফল করতে পারবেন।
কি-ওয়ার্ড নিয়ে লেখকের বক্তব্য
কি-ওয়ার্ড নিয়ে লেখকের বক্তব্য হলো একটি কনটেন্ট লিখার পূর্বে অবশ্যই ভেবে
চিনতে সঠিক কি-ওয়ার্ডটি বাছাই করবেন। কারণ আপনার কি-ওয়ার্ড যত সুন্দর বা
আকর্ষণীয় তত আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। যার ফলে আপনার
ওয়েবসাইটে র্যাঙ্কিং বৃদ্ধি পাবে।সঠিক কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিনে
কনটেন্টটি সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় ও কনটেন্টের বিষয়বস্তু স্পষ্ট হয়।
বলা যায়, কি-ওয়ার্ড হলো সেই শব্দ গুলো যা অনলাইনে সার্চ করে মানুষ বা ট্রাফিক
তাদের কাঙ্ক্ষিত পোস্টগুলো খুঁজে পায়। আর এর সঠিক ব্যবহার করতে পারলে
ওয়েবসাইটে বেশি ট্রাফিক আনা সম্ভব, কারণ সঠিক কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করলে
ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ বাড়ে। তাই আপনার ওয়েবসাইটকে ভালো একটি র্যাঙ্কিং এ রাখতে
আপনার কি-ওয়ার্ড নিয়ে ভালো মতো গবেষণা করে একটি কনটেন্ট লিখা উচিত।
মাই আর্টিকেল কুইল এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url