ডিজিটাল মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব?

 

ডিজিটাল মার্কেটিং আজকের দিনে ব্যবসার অগ্রগতির একটি অন্যতম প্রধান অংশ। আজকের ব্লগে আমরা ২০২৪ সালের ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেরা স্ট্রাটেজি গুলি নিয়ে আলোচনা করব যা আপনার ব্যবসার উন্নতির পথে সহায়ক হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব?

২০২৪ সালে আপনার ব্যবসাকে ত্বরান্বিত করতে আজই শুরু করুন ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এই পোস্ট থেকে জেনে নিন আপনার ব্যবসা বাড়ানোর সেরা স্ট্রাটেজি ২০২৪, 

পেজ সূচিপত্রঃ ডিজিটাল মার্কেটিং: আপনার ব্যবসা বাড়ানোর সেরা স্ট্রাটেজি ২০২৪ 

    ডিজিটাল মার্কেটিং কি

    ডিজিটাল মার্কেটিং একটি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর যা ই-প্লাটফর্মগুলির মাধ্যমে অডিয়েন্সের সাথে যোগাযোগ স্থাপন এবং ব্যবসায়িক লক্ষ্যগুলি পূরণ করার জন্য ব্যবহার হয়। আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ইন্টারনেট ও ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে পণ্য ও সেবার প্রচারণা।

    ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর এ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, SEO, ব্লগিং, ইমেইল মার্কেটিং এসব অন্তর্ভুক্ত। ডিজিটাল মার্কেটিং এখন সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন একটি সেক্টর। প্রায় সকলেই ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে ফ্রিল্যানসিং করেন। এর কারণ হচ্ছে এর কাজ তুলনামূলক সহজ। 

    সহজেই অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। স্টুডেন্টরা এই কাজ করে থাকে পড়াশোনার পাশাপাশি।আপনার মূল দক্ষতা যদি হয় ডিজিটাল মার্কেটিং তাহলে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন অনায়াসেই। SEO, ব্লগিং, সাপ্লাই চেন ইত্যাদি কাজ করে লাখ টাকা ইনকাম করা যায় খুব সহজেই।

    ২০২৪ সালে ডিজিটাল মার্কেটিং এর লান্ডস্কেপ

    ২০২৪ সালে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ল্যান্ডস্কেপ অত্যন্ত গতিশীল ভাবে উন্নয়ন হচ্ছে। এই বছরে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল ফোকাস থাকবে গ্রাহকদের সাথে আরও গভির এবং ব্যক্তিগত সংযোগ স্থাপন করা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং মেশিন লার্নিং (ML) এর

    উন্নতি মার্কেটিং স্ট্রাটেজিকে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক এবং কার্যকরি করে তুলছে। এর পাশাপাশি, ভয়েস সার্চ অপটিমাইজেশন এবং অগ্মেন্টেড রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকদের একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ অভিজ্ঞতা প্রদান করা হবে। 

    সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং নতুন নতুন প্লাটফর্মের আর্বিভাব ডিজিটাল মার্কেটিং এর কৌশলগুলিকে আরও বিস্তৃত করেছে। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। মাইক্রো-ইনফ্লুয়েন্সারদের ও অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

    এছাড়াও কনটেন্ট ও ভিডিও কনটেন্ট এর গুরুত্ব ২০২৪ সালে আরও বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে যা সামনে আরও বাড়বে। যেখানে তথ্যপূর্ণ এবং আকর্ষনীয় কনটেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে ব্র্যান্ডরা তাদের লক্ষ্যবস্তু অডিয়েন্সের সাথে জড়িত হতে চেষ্টা করবে।

    ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব

    ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করতে প্রথমে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। শুরুতে আপনার ব্যবসার টার্গেট নির্ধারন করুন এবং সেই অনুযায়ী একটি স্ট্রাটেজি বানান। এরপর টার্গেটেড অডিয়েন্স চিহ্নিত করুন; তাদের আচরনবিধি গবেষণা করুন।

    এরপর আপনি আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন যা আপনার ব্যবসার সঠিক প্রতিনিধিত্ব করে। ওয়েবসাইটটি হতে হবে ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং মোবাইল রেস্পন্সিভ। এর পর আপনি SEO কৌশল প্রয়োগ করুন এবং কি ওয়ার্ড রিসার্চ করুন।
    সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে আপনার উপস্থিতি নিশ্চিত করুন এবং নিয়মিতভাবে আকর্ষনীয় ও তথ্যপূর্ণ কনটেন্ট পোস্ট করুন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং লিংকডইন সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অ্যাকটিভ থাকুন এবং পোস্ট করুন। সেখানে আপনার কনটেন্টগুলির প্রচারণা চালান।
    পে পার ক্লিক বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটকে আরও বৃদ্ধি করুন। গুগল ও ফেসবুকে অ্যাড চালান। এছাড়াও গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন। এভাবেই আপনি আপনার শুরু করতে পারেন দিজিতাম মার্কেটিং সেক্টরে। 

    ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি 

    ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ টার্গেট সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন ব্যবসার লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করে। কার্যকরি বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইন তৈরি জন্য বিভিন্ন টিপস ও কৌশল রয়েছে। যা ব্যবহার করতে হবে। এমন অনেক উদাহরন আছে যার মাধ্যমে এই কৌশলএর কার্যকরিতা প্রমান পাওয়া যায়।

    ডিজিটাল মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব?
    SEO অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি করে, যা ব্যবসার জন্য কিংবা আপনার অনলাইন প্লাটফর্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। SEO উন্নত করার স্ট্রাটেজি এবং টুলস নিয়ে আমাদের আগেই আলোচনা করা হয়েছে। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ব্র্যান্ড প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

    সঠিক ইনফ্লুয়েন্সার নির্বাচন করার ফলে ব্র্যান্ড ভ্যালু ও ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়ে। কনটেন্ট মার্কেটিং গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে এবং ধরে রাখতে সাহায্য করে। কি ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে গ্রাহককে আকৃষ্ট করা যায় তা নিয়ে আপনারা একটু রিসার্চ করে নিবেন।

    ডেটা ড্রিভেন মার্কেটিং ডেটার সাহায্য নিয়ে কাজ করে। ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের জন্য ব্যবহারিত টুলস এবং ডেটার ভিত্তিতে ক্যাম্পেইন অপ্টিমাইজ করার পদ্ধতি নিয়ে গুগলে অনেক আলোচনা করা আছে। আপনারা তা দেখে নিতে পারেন।

    ওমনিচ্যানেল মার্কেটিং বিভিন্ন ডিজিটাল চ্যানেলগুলিকে একত্রিত করে একটি সুনির্দিষ্ট গ্রাহক অভিজ্ঞতা প্রদান করে। মার্কেটিং অটোমেশন সময় বাঁচাতে এবং কার্যকরিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
     
    এই ব্লগে আমরা ২০২৪ সালে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেছি সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন ব্যবহার, SEO উন্নত করা, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং গ্রহন, কনটেন্ট মার্কেটিং এ মনযোগ দেওয়া, ওমনিচ্যানেল গ্রহন করা ছাড়াও মোট ৭টি স্ট্রাটেজি নিয়ে আলোচনা করেছি।

    ব্যবসা বাড়ানোর সেরা স্ট্রাটেজি ২০২৪

    ব্যবসা বাড়ানোর সেরা ৭টি ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি নিয়ে কথা বলবো যা ২০২৪ সালে আপনার জন্য হতে পারে একটি টার্নিং পয়েন্ট।

    ১. সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন ব্যবহারঃ সোশ্যাল মিডিয়া  বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে যেমনঃ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং লিংকডইন সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অ্যাকটিভ থাকুন এবং পোস্ট করুন। সেখানে আপনার কনটেন্টগুলির প্রচারণা চালান। গ্রাহকের কাছে আপনার ব্র্যান্ড সামনে আস্তে এটি উপকারি হবে।

    ২. SEO ডেভেপল করাঃ SEO হলো একটি কৌশল যা ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে উচ্চ স্থানে আনতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ে এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি ফল দেয়।

    ৩. ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং গ্রহন করাঃ ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হলো এমন কৌশল যেখানে আপনার ব্রান্ডের পরিচিতি বাড়াবে ইনফ্লুয়েন্সারের মাধ্যমে। ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের প্রতি বিশ্বাস ও গ্রহনযোগ্যতা বাড়ে।

    ৪. কনটেন্ট মার্কেটিংঃ কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য মূল্যবান এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহ করা হয়। এটি ব্লগ, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক ইত্যাদি আকারে হতে পারে। কনটেন্ট মার্কেটিং মূল লক্ষ্য হলো গ্রাহকদের সমস্যা সমাধান করা এবং তাদের আকৃষ্ট করা। 

    ৫. ডেটা-ড্রিভেন মার্কেটিংঃ ডেটা-ড্রিভেন মার্কেটিং এ গ্রাহকদের আচরণ, পছন্দ-অপছন্দ এবং ক্রয় ইতিহাস বিশ্লেষণ করে মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা করা হয়। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে আরও ব্যক্তিগত যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।

    ৬. ওমনিচ্যানেল মার্কেটিংঃ ওমনিচ্যানেল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন  চ্যানেলে সমন্বিতভাবে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এটি একটি স্রামগ্রিক গ্রাহক অভিজ্ঞতা প্রদান করে এবং গ্রাহকদের সাথে আরও ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলে।

    ৭. অটোমেশন টুলসে বিনিয়োগঃ মার্কেটিং অটোমেশন টুলস ব্যবহার করে বিভিন্ন মার্কেটিং কার্যক্রম সক্রিয়ভাবে পরিচালনা করা যায়। এটি সময় বাঁচায় এবং মার্কেটিং কার্যক্রমের কার্যকরিতা বৃদ্ধি করে।

    কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়

    ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান যুগে ব্যবসায়িক প্রচারণা একটি গুরুত্বপুর্ণ উপায় হয়ে উঠেছে। এটি ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে পন্য বা সেবার প্রচারের প্রক্রিয়া। নিচে ডিজিটাল মার্কেটিং করার কিছু মূল উপায় এবং কৌশল আলচনা করা হলোঃ

    ১. ওয়েবসাইট তৈরিঃ

    ওয়েবসাইট আপনার ব্যবসার অনলাইন উপস্থিতির মূল ভিত্তি। এটি আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করে এবং গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।

    ২. SEO অপটিমাইজেশনঃ

    SEO হলো একটি কৌশল যা ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে উচ্চ স্থানে আনতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ে এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি ফল দেয়।

    ৩. কনটেন্ট মার্কেটিংঃ 

    কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য মূল্যবান এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহ করা হয়। এটি ব্লগ, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক ইত্যাদি আকারে হতে পারে। কনটেন্ট মার্কেটিং মূল লক্ষ্য হলো গ্রাহকদের সমস্যা সমাধান করা এবং তাদের আকৃষ্ট করা। 

    ৪. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ 

    সোশ্যাল মিডিয়া  বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে যেমনঃ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং লিংকডইন সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অ্যাকটিভ থাকুন এবং পোস্ট করুন। সেখানে আপনার কনটেন্টগুলির প্রচারণা চালান। গ্রাহকের কাছে আপনার ব্র্যান্ড সামনে আস্তে এটি উপকারি হবে।

    ৫. ইমেইল মার্কেটিংঃ

    ইমেইল মার্কেটিং হলো একটি প্রাচীন কিন্তু কার্যকরি উপায়। গ্রাহকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখতে এবং নতুন নতুন অফার বা নতুন প্রচার বা তথ্য জানাতে এর ব্যবহার হয়। এটি আপনার ব্যবসা বাড়ানোর সেরা স্ট্রাটেজি ২০২৪।

    ৬. পে-পার-ক্লিক বিজ্ঞাপনঃ

    পে-পার-ক্লিক বিজ্ঞাপন একটি পেইড মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি যেখানে আপনি প্রতি ক্লিকে একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকা প্রদান করা হবে। গুগল অ্যাডওয়ার্ডস ও ফেসবুক অ্যাডস এর অন্যতম জনপ্রিয় উদাহরন।

    অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং কোথায় করবেন

    ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর। আপনি অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং করার একটি ভালো প্লাটফর্ম ব্লগার.কম।ব্লগার হচ্ছে একটি ফ্রি অনলাইন ওয়েব ভিত্তিক প্লাটফর্ম যা গুগল দ্বারা পরিচালিত হয়।

    ব্লগার রা আসলে কাজ করে লেখালেখি নিয়ে। যেমন ফ্যাশন, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি, ভ্রমণ ইত্যাদি। ব্লগার থেকে ফ্রি তে যে কেউ ব্যাক্তিগত অথবা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্লগ পোষ্ট করতে পারেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরী তৈরী করে নিজের মনের কথা গুলা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে টাকা ইনকাম করার নাম ই ব্লগ।

    আপনার ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে গেলে এখন আপনি আপনার পছন্দ মতো ব্লগ লিখতে পারেন। অনেক টপিক রয়েছে যেমন লাইফস্টাইল, ভ্রমণ, ফ্যাশন ইত্যাদি। New Post এ ক্লিক করে পোস্ট লিখা শুরু করি। Title এর বক্স এ আপনার পোস্ট এর একটা টাইটেল দিন এবং ব্লাঙ্ক বক্স এ আপনার পোস্ট লেখা শুরু করুন। 

    ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়

    ডিজিটাল মার্কেটিং করে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ও ইনকাম করা যাই। ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে এখনকার সব থেকে সহজ এবং ট্রেনডিং ফ্রিলান্সিইং সেক্টর। এই সেক্টরে ইনকাম যেমন বেশি, কাজ ও তেমন কম। আর এই সেক্টরে কাজের তেমন কোনো স্কিল লাগেনা। নিজের মনের মতামত প্রকাশ করাই মূলত এর কাজ।

    তাই আপনি নির্ভয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম প্লাটফর্ম ব্লগিং। ব্লগ লেখালেখি করে ঘরে বসেই যদি ইনকাম করা যাই তাইলে এর থেকে আরামের কাজ আর কি হতে পারে। প্রতি মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা ইনকাম করার সব থেকে সহজ উপায় এই ব্লগিং।

    ব্লগ পোস্ট করে নিজের ওয়েবসাইট গুগল এর টপ লিস্ট এ থাকলে সেখান থেকে ইনকাম করা যায়। এভাবে ব্লগ করে ইনকাম করা যায়। এছাড়াও আরও অনেকভাবেই ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায় যা ইতিপুর্বেই আলোচনা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আরও ইনকাম করা যায়। লাখ টাকার ওপরে প্রতি মাসে ইনকাম করা যায়।

    ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি এবং চাহিদা কেমন

    ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি এবং চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে আরো বাড়বে বলে আশা করা যাই কারণ বর্তমানে মানুষ অনলাইনমুখী হয়ে পড়েছে। তাদের সকল ধরণের কাজ এখন অনলাইন বেসড। তাই এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ এবং চাহিদা সম্পর্কে বলতে লাগলে শেষ করা যাবে না। চলুন তবে জেনে নেই,
    ডিজিটাল মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব?

    ১. ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎঃ
    বিশ্বজুরে ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বেড়েই চলেছে। যা ডিজিটাল মার্কেটিংকে আরো গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। আবার মোবাইল ব্যাবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে যার ফলে মোবাইল মার্কেটিং এর চাহিদাও কিন্তু বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ভিডিও এর মাধ্যমে যেই ভ্লগ করা হই তার জনপ্রিয়তা কিন্তু প্রচুর যা মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ। আর ই-কমার্স প্লাটফর্মগুলো বৃদ্ধি ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বাড়াচ্ছে। 
    ২. ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদাঃ
    যারা ডিজিটাল মার্কেটিং করে তারা অবশ্যই জানে যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূলমন্ত্র হলো কন্টেন্ট রাইটিং। আবার SEO বিশেষজ্ঞদের চাহিদা সময়ের সাপেক্ষে বাড়তেই আছে, যা ডিজিটাল মার্কেটিং ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরেকটা অংশ হলো ডাটা অ্যানালিটিক্স। এই ডাটা বিশ্লেষণ করে মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরি করা হয়ে থাকে। 

    ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে লেখকের বক্তব্য

    এই ৭টি স্ট্রাটেজি আপনার ব্যবসার উন্নতির জন্য ও ব্যবসাকে ত্বরান্বিত করার জন্য অপরিহার্য। প্রতিটি স্ট্রাটেজিই নিজ নিজ জায়গা থেকে গুরুত্বপূর্ণ যেমন সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন আপনার টার্গেট অডিয়েন্সকে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। SEO আপনার ওয়েবসাইট এপ্রোচ বাড়াবে। 

    ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং আপনার ব্রান্ডের পরিচিতি বাড়াবে। কনটেন্ট মার্কেটিং আপনার অডিয়েন্সকে ধরে রাখবে। ডেটা ড্রিভেন মার্কেটিং সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে এবং ওমনিচ্যানেল মার্কেটিং একটি সম্মিলিত গ্রাহক অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। অটমেশন আপনার মার্কেটিং এর প্রচেস্টা আরও দক্ষতার সাথে পরিচালিত করবে।

    এই কৌশল গুলিকে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে পারলে আপনার ব্যবসা কেবল বৃদ্ধিই পাবে না বরং বাজারে প্রতিযোগিতার সঙ্গে টিকে থাকতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়। প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও গবেষনার মাধ্যমে কৌশল গুলিকে আপনার মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির অংশ করে তুলুন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রচেস্টা আপনাকে সফলতা এনে দিবে। 

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    মাই আর্টিকেল কুইল এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url