ফেসবুক মার্কেটিং কি? ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল কি?

 

ফেসবুক মার্কেটিং কি এবং ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল কি সেটা আমাদের সকলের জেনে রাখা উচিত। ফেসবুক মার্কেটিং মূলত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, উদ্যোক্তা, ব্র্যান্ড বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান করে থাকে, তাদের পণ্য বা সেবা প্রচার এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য। 
ফেসবুক মার্কেটিং কি? ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল কি?
ছোট থেকে বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য ও সেবা প্রচারের জন্য সাধারণত ফেসবুক মার্কেটিং করা হয়ে থাকে। তবে চলুন দেরি না করে জেনে নেই ফেসবুক মার্কেটিং কি ও ফেসবুক মার্কেটিং করার কৌশল কি,

পেজ সূচিপত্রঃ ফেসবুক মার্কেটিং কি?-ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল কি? 

ফেসবুক মার্কেটিং কি

ফেসবুক মার্কেটিং হলো একটি ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম। এ প্লাটফর্ম ব্যবহার করে পণ্য, সেবা, ব্র্যান্ড বা কনটেন্ট প্রচার করার একটি প্রক্রিয়া। পৃথিবীর প্রায় ৩ বিলিয়ন মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। এত বিশাল ব্যবহারকারী এবং টার্গেটের বিজ্ঞাপনে সুবিধা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তাই বলা যায়, যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যারা তাদের সেবা বা পণ্য তাদের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে চাই তারা ফেসবুক মার্কেটিং ব্যাবহার করে থাকে। এর মার্কেটিং এর এত চাহিদা হওয়ার কারণ এটি খরচ সাশ্রয়ী উপায় কার্যকরী মার্কেটিং করার সুযোগ প্রদান করে। এর মাধ্যমে ব্যবসাগুলো গ্রাহকদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারবে।

তাদের রিভিউ এর মাধ্যমে ব্যবসার মান উন্নত করতে পারে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এখন সবার অনলাইন এ মার্কেটিং করার ঝোঁক অনেক বেশি। যার জন্য কোন ছোট বা বড় আকারের ব্যবসাগুলো খুবই সহজে ফেসবুক মার্কেটিং করে প্রসারিত করা যায়।

আপনার পছন্দের তালিকায় থাকতে পারে এমন আরও কিছু পোস্ট

ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল কি

ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল কি, এখন আমাদের অনেকের প্রশ্ন হতে পারে তাইনা? আমরা আগেই জেনেছি ফেসবুক মার্কেটিং হলো একটি ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম যা ব্যাবহার করে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যারা তাদের সেবা বা পণ্য তাদের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে চাই। 

ফেসবুক মার্কেটিং সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য কিছু কৌশল মেনে চলতে হয়। আজ তবে আপনাদের শিখিয়ে দেয় ফেসবুক মার্কেটিং করার কৌশলগুলি,

১. আকর্ষণীয় ফেসবুক পেজ তৈরি করাঃ 
আপনার ফেসবুক পেজটি এমনভাবে সাজাতে হবে যার ফলে গ্রাহকদের আপনার পেজের ওপর আকর্ষণ ও চাহিদা বৃদ্ধি পায়।

২. টার্গেটেড বিজ্ঞাপনঃ 
গ্রাহকদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে পণ্য ও সেবা দেওয়া উচিত। তুমি সে অনুযায়ী বিজ্ঞাপন সিস্টেম করে এবং অন্যান্য মানদন্ড অনুযায়ী আপনার টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করা উচিত। 

৩. আকর্ষণীয় ও মানসম্পন্ন পণ্যঃ 
কন্টেন্ট তৈরি করা আকর্ষণীয় ও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করা উচিত যা গ্রাহকদের আগ্রহ ধরে রাখতে সাহায্য করে। 

৪. নিয়মিত পোস্ট করাঃ 
নিয়মিতভাবে পেজে নতুন নতুন কনটেন্ট পোস্ট করা উচিত এর ফলে আপনার ফলোয়ারের সাথে সংযোগ বজায় রাখতে সহায়তা করে। ইন্টারেক্টিভ কন্টেন্ট লাইভ ভিডিও, কুইজ বা বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় মজার মজার সেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে। 

৫. ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহারঃ 
নির্দিষ্ট বিষয় বা গ্রাহকদের আগ্রহের উপর ভিত্তি করে গ্রুপ তৈরি করতে হবে এবং সেখানে সক্রিয় থাকতে হবে। 

৬. ফেসবুক ইনসাইটস ব্যবহারঃ
ফেসবুক ইনসাইটস ব্যবহার করে পোস্টের কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করে এবং সে অনুযায়ী কৌশল উন্নত করা যাই।

৭. পন্যের উপর ডিসকাউন্ট দেওয়াঃ 
প্রতিমাসে পণ্যের উপর এক থেকে দুইবার ডিসকাউন্ট দিলে গ্রাহকদের আকর্ষণ বাড়ে।

ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার 

ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার সেটি আসলে আমাদের জেনে নিতে হবে কারণ কোন ব্যবসা বা মার্কেটিং শুরু করার আগে আমাদের সে ব্যাপারে খুঁটিনাটি সবকিছুই জেনে নেওয়া উচিত। এ মার্কেটিং কে আমরা বিভিন্ন প্রকারে বিভক্ত করতে পারি। এ বিভক্ত করা যেতে পারে প্রধানত ব্যবহার করা পদ্ধতি এবং কৌশলের উপর ভিত্তি করে। 

চলুন তবে জেনে নিই ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার এবং কি কি, 

অর্গানিক পোস্টিংঃ
অর্গানিক পোস্টিং এর মধ্যে রয়েছে অর্গানিক কনটেন্ট এবং ইন্টারেকশন ও এনগেজমেন্ট। অর্গানিক কনটেন্ট হলো পেজে বা গ্রুপে বিনামূল্যে কন্টেন্ট পোস্ট করা। এ পোস্টিং এর মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যায় আপনার ব্যবসার সেবা বা পণ্যের প্রচার। আবার ইন্টারেকশন ও এনগেজমেন্ট হলো ফলোয়ারদের সাথে মন্তব্য, প্রতিক্রিয়া এবং শেয়ারের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা।

পেইড বিজ্ঞাপনঃ
পেইড বিজ্ঞাপনের মধ্যে রয়েছে বুস্টেড পোস্ট, ফেসবুকে অ্যাড, রিটারগেটিং অ্যাড। বুস্টেড পোস্ট হলো ফেসবুকে আপনার করা পোস্টকে অর্থ প্রদান করে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রমোট করা। ফেসবুক এড হলো নির্দিষ্ট পণ্যকে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ফেসবুকে বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম মাধ্যমে বিজ্ঞাপন চালানো। রিটারগেটিং অ্যাড হল যারা আগে আপনার পেইজে ইন্টারেক্ট করেছেন তাদের পুনরায় টার্গেট করে বিজ্ঞাপন দেখানো। অর্থাৎ বুঝতে পেরেছেন পেইড বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার ফেসবুক মার্কেটিং খুব সহজে করা সম্ভব।

ফেসবুক গ্রুপ মার্কেটিংঃ
ফেসবুক গ্রুপ মার্কেটিং করতে আপনার নিয়মিত গ্রুপে পোস্ট করতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা আগ্রহের উপর ভিত্তি করে একটি কমিউনিটি বিল্ডআপ করতে হবে।

লাইভ ভিডিও মার্কেটিংঃ
সরাসরি সম্প্রচারের জন্য পূর্ণ প্রদর্শন এবং গ্রাহকদের চাহিদা বুঝা এবং তার উত্তর দেওয়ার জন্য লাইভ ভিডিও মার্কেটিং করতে হবে। এর ফলে আপনার পেজের উপর গ্রাহকদের বিশ্বস্ততা ও বৃদ্ধি পায়।

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংঃ
আমাদের দেশে অনেক ইনফ্লুয়েন্সার রয়েছে যাদের ফ্যান ফলোয়ার অনেক। তাদের মাধ্যমে মার্কেটিং করলে আপনার ব্যবসার প্রসারণ হবে। তবে এই মার্কেটিং এর জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের আপনাকে পারিশ্রমিক দেওয়া লাগবে।

ফেসবুক মার্কেটিং কেন করব 

ফেসবুক মার্কেটিং কেন করব সেটা চলুন জানি। ফেসবুক একটি বৃহত্তম সামাজিক মাধ্যম প্লাটফর্ম। তাই বলা যাই এতো বড় প্লাটফর্মে মার্কেটিং করা অনেক বুদ্ধিমানের কাজ বটেই। নিজের ব্যবসা প্রসারের জন্য ফেসবুক মার্কেটিং এর বিকল্প এখন তা বললেই চলে, কারণ জানেনই তো যে এখন সবাই অনলাইন কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। চলুন তবে জানি ফেসবুক মার্কেটিং কেন করব,

১. ফেসবুক প্লাটফর্ম বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম। এখন মানুষ বাজারে যেয়ে কিছু কিনতে চাইনা। তারা এখন বাসায় বসে প্রোডাক্ট কিনতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য ফিল করে। আবার ফেসবুকে বেশি মানুষ সক্রিয় থাকে অন্য প্লাটফর্মের থেকে। তাই ফেসবুক মার্কেটিং করলে আপনি খুব সহজেই অনেক গ্রাহক পাবেন। এর ফলে আপনি আপনার পণ্য বা সেবা অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন।

২. ফেসবুকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সেবার লক্ষ্য সকল গ্রাহকদের মাঝে প্রচার করতে পারবেন।

৩. সবচেয়ে মজার কথা হলো এ মার্কেটিং করতে আপনার কোনো টাকা খরচ হবে না। জি ঠিক শুনেছেন বিনামূল্যে মার্কেটিং করার মাধ্যম হলো ফেসবুক।

৪. ফেসবুক আপনাকে আপনার গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করার অনেক সহজ একটি মাধ্যম। 

ফেসবুক মার্কেটিং করার সুবিধা আসলে এটাই। এই সুবিধাগুলার জন্যই মূলত ফেসবুকে মার্কেটিং করার জন্য সকলে আগ্রহী হয়ে থাকে। 

ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে করব 

ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে করা যায় সেটা আমাদের জেনে থাকা অনেক দরকার। কারণ এই মার্কেটিং করা হই আপনার পণ্য ও সেবা প্রচার করার জন্য। আমি আপনাদের কিছু ধাপ শিখিয়ে দিবো, যা অনুসরণ করলে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং কার্যক্রমকে উন্নত করতে পারবেন এবং আশা করা যায় আপনার ব্যবসাতে সফলতা আসবে। চলুন তবে জেনে নেই,
ফেসবুক মার্কেটিং কি? ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল কি?

অনলাইন ইনকাম সংক্রান্ত পোস্ট


ফেসবুক পেজ তৈরি: 
ফেসবুক মার্কেটিং করার জন্য অবশ্যই প্রথম ধাপ ফেসবুক পেজ তৈরি হবে। এখন কথা হলো যে ফেসবুক পেজ খোলার জন্য আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। এমনভাবে পেজট সাজাবেন যাতে আপনার পেজটি দেখে গ্রাহক আকর্ষিত হয়। আর পেজটি অবশ্যই ব্যক্তিগত প্রোফাইল হবে না। বিজনেস পেজ হবে। আর আপনার পেজের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রোফাইলে আপনার ব্যবসার লোগো কভার ছবি এবং বিজনেস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে রাখতে হবে।
      
টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করুন: 
আপনার ব্যবসার সেবা ও পণ্য এর উপর ভিত্তি করে আপনাকে বয়স, লিঙ্গ, অবস্থান এবং আগ্রহের ভিত্তিতে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করতে হবে। 

কনটেন্ট তৈরি ও শেয়ার করুন: 
আপনার পণ্য ও সেবা মোতাবেক প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি, ভিডিও, ব্লগ পোস্ট এবং লাইভ এর মাধ্যমে গ্রাহকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন। ওটা সে অনুযায়ী কনটেন্ট বানিয়ে তা শেয়ার করুন।

ফেসবুক বিজ্ঞাপন: 
আপনার ব্যবসাকে সকলের সামনে নিয়ে আসার জন্য একটি সহজ মাধ্যম হলো ফেসবুক বিজ্ঞাপন। ফেসবুক বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু অর্থ ফেসবুকে দেওয়া লাগে। তবে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার ব্যবসার সকল প্রোডাক্টগুলো লোকাল SEO মাধ্যমে গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষিত করে।

গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করে: 
গ্রাহকের আপনার প্রোডাক্ট পছন্দ হলে আপনার সাথে যোগাযোগ করার অতি সহজ মাধ্যম হলো ফেসবুকের মেসেঞ্জার। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ার জন্য আপনার ব্যবসার উন্নতি কিন্তু সাধারণ ব্যবসার তুলনায় দ্বিগুণ হবে।

ফেসবুক মার্কেটিং এর কাজ কি 

ফেসবুক মার্কেটিং এর কাজ হল মূলত আপনার ব্যবসার উন্নতি করা। সহজ ভাবে বলতে গেলে ফেসবুক মার্কেটিং মূলত এমন একটি প্রক্রিয়া যা ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনার ব্যবসার প্রসার ও গ্রাহকদের সাথে সংযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে করা হয়। এর কিছু প্রধান কাজ উল্লেখ করা হলো, 

  • ১. ফেসবুক পেজ এবং বিজ্ঞাপনের ব্যবহার করে আপনার ব্যবসার পরিচিতি ও বিশেষ যোগ্যতাবৃদ্ধি করে।
  • ২. আকর্ষণীয় কনটেন্ট এবং ভিজুয়াল উপাদান ব্যবহার করে একটি পজিটিভ ব্যবসার বৈশিষ্ট্য তৈরি করে। লোভনীয় অফার এবং ডিসকাউন্টে আপনার গ্রাহকদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করে।

  • ৩. আকর্ষণীয় পোস্ট এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার পেজে অধিক ট্রাফিক অর্থাৎ গ্রাহক নিয়ে আসে।এই পলিসির মাধ্যমে গ্রাহকের আকর্ষণ তো বৃদ্ধি করতে পারবেন। তবে আকর্ষণ বাড়ানোতে কি হবে বলুন তো? জি ঠিকই ধরেছেন আপনার গ্রাহকের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে যার ফলে আপনার প্রোডাক্ট বিক্রয় বাড়বে। একটা ব্যবসার উন্নতি তো হবেই।

  • ৪. আবার গ্রাহকের কাছ থেকে আপনার প্রোডাক্টের রিভিউ পাওয়ার মাধ্যমে কিন্তু নতুন গ্রাহকদের আপনার ব্যবসার প্রোডাক্ট এর উপর বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে। যার ফলে অবশ্যই আপনার ব্যবসাকে উন্নত করবে।

মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করার উপায়

মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করা খুবই সহজ। আপনার কাছে কম্পিউটার না থাকলেও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ফেসবুক মার্কেটিং করে আপনার ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পারবেন। এমনকি মোবাইল ফোনে মাধ্যমে যেকোনো সময় আপনি ফেসবুক পেজ পরিচালনা করতে পারবেন।

মনে করুন কোন কারণে আপনি সশরীরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাতে পারছেন না, তবে সে ক্ষেত্রে আপনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যেকোনো জায়গা থেকে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করার জন্য আপনার প্রথমে প্রয়োজন ফেসবুক অ্যাপ। 

ফেসবুক অ্যাপে আপনি আপনার ব্যবসার পেজটিতে লগইন করে সহজে নতুন পোস্ট তৈরি এবং ছবি বা ভিডিও আপলোড করতে পারেন। এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে ছবি আর ভিডিও এডিট করবো কি করে। Google play store থেকে আপনি অনেক ছবি ও ভিডিও এডিট করার অ্যাপস পেয়ে যাবেন। 

যাতে আপনি সহজেই ছবি ও ভিডিও এডিট করতে পারবেন। গ্রাহকদের সাথে মেসেজ বা কমিউনিকেশন করার জন্য রয়েছে মেসেঞ্জার অ্যাপ। এর মাধ্যমে আপনি আপনার প্রোডাক্ট বিক্রয় বা গ্রাহকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। আর এই অ্যাপস গুলো মোবাইল ফ্রেন্ডলি হওয়ায় আপনি খুব সহজে ব্যবহার করতে পারবেন। 

আপনাকে গ্রাহক যদি কোন মেসেজ বা আপনার পোস্টে কমেন্ট ইত্যাদি পেইজের অন্যান্য নোটিফিকেশন সহজে আপনার মোবাইলে চলে আসবে। আপনার কাছে মোবাইল থাকলে আপনার প্রোডাক্ট এর ছবি খুব সহজে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তুলে সেটি আপলোড করে দিতে পারবেন। 

অর্থাৎ মোবাইলে মাধ্যমে ফেসবুক মার্কেটিং করলে সময়ের অপচয় হয় না। এমনকি মোবাইলের মাধ্যমে ফেসবুক লাইভ ব্যবহার করে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন যা গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার একটি উপায়। এমনকি এই লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে আপনার ব্যবসার বিশেষজ্ঞতা আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে। 

লাইভ ভিডিও এর মাধ্যমে গ্রাহকের প্রশ্নে সরাসরি উত্তর দিতে পারেন এবং তাদের সাথে আলোচনা করতে পারেন। আবার মোবাইল থেকে ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করতে এবং সদস্যদের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারেন। পরিশেষে বলা যায় যে মোবাইল ফোন দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করার সুবিধা হল আপনি

যে কোন জায়গা থেকে যেকোনো সময়ে সহজে আপনার ব্যবসার প্রচারণা চালাতে পারেন। এ ছাড়াও মোবাইলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন এবং অন্যান্য কনটেন্ট সহজে আপডেট ও পরিচালনা করা সম্ভব।

মেটা মার্কেটিং কি

মেয়েটা মার্কেটিং হলো সামাজিক মাধ্যম মার্কেটিং যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জার ব্যবহার করে ব্যবসার প্রোডাক্ট প্রচার ও বিক্রয় করা। এ মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসার সচেতনতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। এমনকি গ্রাহকের সাথে আপনার যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আপনার পণ্যগুলা গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো অনেক বেশি সহজ হয়ে পরে।

ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং কি

ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং হল বিজ্ঞাপন খরচ ছাড়াই ফেসবুকে ব্যবসার প্রচারণা করা। এতে রয়েছে ফেসবুক পেজ তৈরি করে নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করা, ছবি ভিডিও শেয়ার করা, লাইভ ভিডিও সেশন পরিচালনা করা এবং গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা। এ পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে আপনার ব্যবসার উন্নতি হবে এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।

পেইড ফেসবুক মার্কেটিং কি

পেইড ফেসবুক মার্কেটিং শুনে বোঝা যাচ্ছে যে এ মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে টাকা দেওয়া লাগবে। টাকা দিয়ে ফেসবুকের বিজ্ঞাপন প্রচারণা করায় মূলত পেট ফেসবুক মার্কেটিং এর কাজ। বিজ্ঞাপন গুলো বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন ছবি ভিডিও ইত্যাদি। যার মাধ্যমে আপনার পেইজে গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে কারণ এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার ব্যবসা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ অবশ্যই করবে। 

ফেসবুক মার্কেটিং কি? ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল কি?

ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার উপায়

আমাদের ফেসবুক মার্কেটিং করার মূল উদ্দেশ্য হলো আয় করা। ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যবসা বা প্রোটাক প্রচার করে আয়ের সুযোগ তৈরি করা হয়। এ মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসা এর উন্নতি হয় এবং আপনার প্রোডাক্ট গ্রাহকদের আকর্ষিত করে। ফ্রি এবং পেড ফেসবুক মার্কেটিং করে আপনার পেইজে গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। 

ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার অন্যতম উৎস হলো এতে আপনার প্রোডাক্ট গ্রাহকের কাছে বিক্রয় করা। আবার আরেকটি আয় করার উৎস হল অ্যাফিলিয়েটেড মার্কেটিং এর মাধ্যমে, যেখানে আপনি প্রোডাক্ট প্রচারের জন্য কমিশন লাভ করে থাকেন। এই আয় আপনি ফেসবুক হতে পাবেন।

ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে লেখকের বক্তব্য

আপনারা পুরো আর্টিকেল পড়ে আপনি এতটুকু বুঝতে পেরেছেন ফেসবুক মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনার ব্যবসার উন্নতি হবে। তাই আপনি যদি ব্যবসায়িক হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই আপনার ব্যবসার প্রসার করতে ফেসবুক মার্কেটিং করুন। আশা করি ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসার অনেক নাম, প্রসার ও উন্নতি হবে।

আমি চেষ্টা করেছি আপনাদের সাথে ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাতে আপনাদের ব্যবসার উন্নতি সাধন করতে পারেন। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনার ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে সব ধরনের 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাই আর্টিকেল কুইল এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url