স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম : ৭টি উপায় (সহজ ও বাস্তবসম্মত)
My Article Quill ✅
2 Aug, 2024
স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম : ৭টি উপায় (সহজ ও বাস্তবসম্মত) নিয়ে আজকের আলোচনায় আপনাদের সকলকে
স্বাগতম। যেহেতু আপনি আমার পোস্টটি পড়ছেন তাই আমি ধরে নিতেই পারি আপনি সহজ উপায়ে
ইনকাম সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক।
ছাত্র অবস্থায় আপনি যদি ইনকাম শুরু করতে চান করার তাহলে মনোযোগ সহকারে আমাদের
সাথেই থাকুন। জানাবো কি করে আমরা স্টুডেন্ট অবস্থায় অনলাইনে ইনকাম করে সফল হয়েছি,
সূচিপত্রঃ ছাত্র অবস্থায় টাকা ইনকাম করার সহজ ৭টি উপায়
স্টুডেন্ট অবস্থায় আমরা পড়াশুনার পাশাপাশি সচ্ছল ভাবে জীবন যাপনের জন্য বিভিন্ন
উপায়ে টাকা ইনকাম করতে চায়। তবে অভিজ্ঞতার অভাবে কোথাও চাকরি পায়না আবার পড়াশুনার
জন্য ফুল টাইম জব করতে পারিনা। তাই ছাত্র জীবনে ইনকাম করা অনেক কঠিন। পড়াশুনার
পাশাপাশি ইনকাম করতে আমরা বিভিন্ন কাজ করতে পারি। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা আয় করতে
পারি। যেমন ধরুনঃ
অনলাইন মাধ্যমে ইনকাম
অনলাইন মাধ্যমে ইনকাম
ফটোগ্রাফি করে টাকা ইনকাম
ছোট খাটো ব্যবসা
ইত্যাদি। এরকম নানাবিধ মাধ্যম আমাদের সামনেই রয়েছে কিন্তু আমরা আসলে বুঝে উঠতে
পারিনা বা সাহস করতে পারিনা কিভাবে কি করবো। আমার নিজেরও এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে
পার হতে হয়েছে। কিন্তু আমি মনোবল হারায়নি। আমি অনলাইনের মাধ্যমে আয় করেছি এবং
সফল হয়েছি। এ ছাড়াও আমি একটি ছোট ব্যবসাও করেছি যা নিয়ে আলোচনা করবো।
অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায় ২০২৪
অনলাইন ইনকাম করা বলতে আমরা মূলত বুঝি ফ্রিল্যানসিং কে। ফ্রিল্যান্সিং করে আমরা
অনেক টাকা ইনকাম করতে পারি লেখাপড়ার পাশাপাশি। স্টুডেন্টদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং
হতে পারে একটি ভাল উপায়। কারন ফ্রিল্যান্সিং এর বেশ কিছু সহজ সেক্টর আছে যেগুলি
খুব সহজেই করে ফেলা যায়। এখন আসি ফ্রিল্যান্সিং কি বা ফ্রিল্যান্সিং করে কি হয়।
ফ্রিল্যানসিং হলো একটা আউটসোর্সিং মিডিয়া। ফ্রিল্যানসিং করে বাইরের দেশের
মুদ্রা অর্জন করা যায় তাই একে আউটসোর্স এর মিডিয়া বলা হয়। ফ্রিল্যানসিং হলো এমন
একটি পেশা যেখানে ব্যক্তি নিজে ইচ্ছা মতো স্বাধীন ভাবে কাজ করেন। কোনো
নির্দিষ্ট কোম্পানির অধীনে কাজ না করে নিজের ইচ্ছে ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করার
এই মাধ্যমই হলো ফ্রিল্যানসিং। এতে প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা পারিশ্রমিক
দেওয়া হয়ে থাকে।
ফ্রিল্যান্সার রা সাধারণত বিভিন্ন ক্লাইন্ট এর জন্য প্রকল্প ভিত্তিক কাজ করে
থাকে সম্পন্ন করার পর ক্লাইন্ট এর চুক্তি অনুযায়ী পেমেন্ট করে থাকে। ক্লাইন্ট
নিজের চাহিদা গুলি একজন ফ্রিল্যান্সার কে দিয়ে থাকেন। সেই অনুযায়ী
ফ্রিল্যান্সার কাজ করে দেন। ফ্রিল্যানসিং এর বিভিন্ন সেক্টর আছে। ফ্রিল্যানসিং
সেক্টরগুলো হলো ওয়েব ডিজাইনিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।
ফ্রিলান্সিং করে স্টুডেন্ট অবস্থায় আয়ের উপায়
বর্তমান যুগে ফ্রিল্যানসিং করার দিক মানুষ ঝুঁকে পড়ছে কারণ বর্তমান চাকরির
বাজার এর অবস্থা খুব একটা সুবিধার নয়। ফ্রিল্যানসিং এর প্রধান কয়েকটি সেক্টর
নিয়ে আলোচনা করবো। ফ্রিল্যানসিং এর ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ওয়েব ডিজাইন একটি অন্যতম প্রধান সেক্টর । এখানে ওয়েবসাইট তৈরী ও ডিজাইন করা হয়। ওয়েবসাইট
তৈরী ও ডিজাইন করার মাধ্যমে আপনি ভালো পরিমানের অর্থ আয় করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর এ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, SEO, ব্লগিং,
ইমেইল মার্কেটিং এসব অন্তর্ভুক্ত। ডিজিটাল মার্কেটিং এখন সবচেয়ে চাহিদা
সম্পন্ন একটি সেক্টর। প্রায় সকলেই ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে ফ্রিল্যানসিং করেন।
এর কারণ হচ্ছে এর কাজ তুলনামূলক সহজ এবং সহজেই অনেক টাকা ইনকাম করা যায়।
স্টুডেন্টরা এই কাজ করে থাকে পড়াশোনার পাশাপাশি। এগুলি ছাড়াও আরো অনেক সেক্টর
রয়েছে যা নিয়ে আজ আর কথা বাড়াচ্ছি না। অন্য আরেক সময় এই নিয়ে আলোচনা করবো
।
ওয়েব ডিজাইন এর সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইন ও একটি সেক্টর।
ক্লাইন্ট এর ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী আপনাকে লোগো তৈরী করে দিতে হবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এ শুধু লোগো না, এর মাঝে পোস্টার ডিজাইন, ব্যানার বিভিন্ন
নাম ডিজাইন, ডিজিটাল আর্ট ইত্যাদি ও অন্তর্ভুক্ত। গ্রাফিক্স ডিজাইনার রা
নিজেদের কাজের জন্য অনেক বড় অংকের টাকা পেয়ে থাকেন।
এছাড়াও স্টুডেন্টরা করতে পারে এমন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর গুলি হলো
কনটেন্ট রাইটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং
ব্লগিং
লোগো ডিজাইন
ডাটা এন্ট্রি
SEO
ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ইনকাম
ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার সব থেকে সহজ পদ্ধতি হলো
আর্টিকেল রাইটিং। বিদেশি ওয়েবসাইটে আর্টিকেল রাইটার তার লেখকের
লেখার মানের উপর ভিত্তি করে আনুমানিক ৫-১০০০$ দিয়ে থাকে তবে সে জন্যে
লেখককে ইংরেজিতে পারদর্শী হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সমস্যা হলো সবাই তো আর
ভালো ইংরেজি জানে না। অপরদিকে সকলের পেপাল বা ক্রেডিট কার্ডও নেই। তাই
আমি আজ আপনাদের কিছু বাংলা আর্টিকেল লিখার ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা
করব যা আপনারা মোবাইল দিয়েই ঘরে বসে করতে পারবেন। নিচে
৫টি সেরা বাংলা আর্টিকেল লিখার ওয়েবসাইটের নাম দেওয়া হলো,
টেকটিউনস
গ্রাথোর
গেট পেইড বাংলা
রোর বাংলা
জেআইটি
দিন দিন বাংলা আর্টিকেল লিখার ওয়েবসাইট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব ওয়েবসাইটে
আপনি আর্টিকেল লিখে সহজেই ঘরে বসে মোবাইল দিয়েই আয় করতে পারবেন আর আপনার
পেমেন্টও বিকাশে নিতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে আরও কিছু ছোট ছোট কাজ আছে যা করে ফেলা যায়। মোবাইল দিয়েও টাকা
ইনকাম করা যায়। অনেকে ভাবে মোবাইল দিয়ে হইত অ্যাড দেখে বা গেম খেলে টাকা
ইনকাম করতে হয়। বিষয় টা আসলে তা না। এগুলি আসলে ভুল কথা। অ্যাড দেখে আপনার
তেমন কোনো টাকা আসবেনা। মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে হলে আপনাকে ডাটা এন্ট্রি এর কাজ করতে হবে। ছোট ছোট এরকম কাজ গুলি মোবাইল দিয়ে আপনি সেরে
ফেলতে পারেন।
তবে আপনার হাতের ফোন টি স্মার্ট ফোন হতে হবে অবশ্যই। আর হ্যাঁ, আপনার
ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। ডাটা এন্ট্রি করে অবশ্য আপনার খুব বেশি একটা
টাকা ইনকাম হবে না। এর চেয়ে অ্যাডভান্সসড কাজ করতে চাইলে
আপনি ব্লগিং করতে পারেন । ব্লগিং করে আপনি মাসে লক্ষ
লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন অনায়াসে। ব্লগারডটকম আপনার জন্য হতে পারে
একটি আদর্শ ওয়েবসাইট। ব্লগার এ নিজের ইচ্ছা মতো আপনি লেখা লেখি করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে ফটোগ্রাফি করে টাকা ইনকাম
আমরা অনেকে ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। হাতে থাকা ফোন দিয়ে অনেক সুন্দর
সুন্দর ছবি তুলে থাকি। তবে সেই সুন্দর ছবি গুলি আমরা সাধারণত মোবাইল
গ্যালারিতেই ফেলে রাখি। কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার এই ছবি গুলি থেকেও আপনি
ইনকাম শুরু করতে পারেন।Shutterstock
নামের একটি প্লাটফর্ম আছে যেখানে আপনি আপনার এই সুন্দর সুন্দর ছবি গুলি
অনলাইনে বিক্রয় করতে পারবেন। আপনি হইত জানলে অবাক হবেন আপনার তুলা ছবি গুলি
থেকে প্রতি মাসে আপনি প্রায় ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা কিংবা তার ও বেশি টাকা
ইনকাম করতে পারবেন।
Shutterstock Contributer এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে আপনি সহজেই অপারেট করতে পারবেন। আপনাকে
প্রথমে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। আপনার একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন ১০০%
কমপ্লিট হয়ে গেলে আপনি আপনার তোলা ছবি Shutterstock Contributer অ্যাপ
এ আপলোড করতে পারবেন। Shutterstock Contributer আপনার ছবিগুলো রিভিউ
করবে। এর জন্য কিছুটা হয়ত সময় লাগতে পারে। এর পর অ্যাপ্রুভ হলে আপনার ছবি
তাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করবে।
এখন যদি আপনার ছবি কেউ
ডাউনলোড ও করে তাহলেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন আর এছাড়া আপনি মোটা
অঙ্কে আপনার ছবি বিক্রয় ও করতে পারবেন। এভাবে আপনি মোবাইল ফটোগ্রাফি করে
স্টুডেন্ট অবস্থায় অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন। এবং এই কাজ গুলে আসলেও অনেক
সহজ। খুব একটা পরিশ্রম করার প্রয়োজন হয়না। তাই দেরি না করে আজকেই
ফটোগ্রাফিক ছবি আপলোড করে
ফেলুন।
ভিডিও করে টাকা ইনকাম
আমরা এতক্ষন কথা বললাম ফটোগ্রাফি থেকে ইনকাম করার উপায় নিয়ে। এখন বলব ভিডিও
করে টাকা ইনকাম এর ব্যপারে। FanFare নামক একটি অ্যাপ আছে যেখানে আপনি ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে
পারেন। কিভাবে করবেন আসুন তা নিয়ে একটু আলোচনা করি। FanFare অ্যাপটি ইন্সটল করে আপনার জিমেল বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে
রেজিস্ট্রেশন করে নিন। এরপরের কাজ আপনার ভিডিও আপলোড করা। তবে এখনে সকল
ধরনের ভিডিও আপলোড করলে চলবে না।
এখানে আপনাকে প্রডাক্ট ভিডিও নিয়ে কাজ
করতে হবে। আপনি যেকোনো একটি প্রডাক্ট এর কিছু শট নিয়ে আপনার মন মতো এডিট
করতে আপনি সুন্দর একটি প্রোডাক্ট ভিডিও বানাবেন। ধরে নিন আপনার সামনে থাকা একটি যেকোনো ব্র্যান্ড এর একটি কলম আছে। আপনি এই
কলমের ব্র্যান্ডকে প্রমোট করতে চান। এই অবস্থায় আপনি আপনার ইচ্ছা মতো একটি
ভিডিও বানাবেন যেখানে আপনার ওই কলমের ব্র্যান্ড নাম দেখা যাচ্ছে বা উল্লেখ
হচ্ছে।
এভাবে ভিডিও করে আপনি আপলোড করে দিবেন FanFare এ। তারপর তারা
রিভিউ করে আপনার পোস্ট অ্যাপ্রুভ করলে আপনার একাউন্টে পয়ন্ট যুক্ত হবে। এখন
আপনি চাইলে পয়েন্ট ব্যবহার করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারেন।
ট্রেডিং করে আয়
শুরু করতে চায় ট্রেডিং কি-এই নিয়ে। স্পেসিফিক্যালি যদি কথা বলি তাহলে বলব
ফরেক্স ট্রেডিং নিয়ে। ফরেক্স ট্রেডিং হলো বিনিময় বাজারে বৈদেশিক মুদ্রা
ক্রয়-বিক্রয় করার প্রক্রিয়া। অর্থাৎ একটি দেশের মুদ্রার বিনিময়ে অন্য
একটি দেশের মুদ্রা ক্রয়/বিক্রয় করাকে ফরেক্স ট্রেডিং বলে। ফরেক্স
(FOREX) শব্দটির এর পূর্ণরূপ হলো Foreign Exchange ।
এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিনান্সিয়াল মার্কেট যেখানে প্রতিদিন ট্রিলিয়ন
ডলার এরও বেশি অর্থ লেনদেন করা হয়।
এক কথায় এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক মার্কেটপ্লেসও বলা যেতে পারে।
সাধারণত বাস্তব জীবনে আমরা ব্যাংক অথবা এক্সচেঞ্জ হাউজ এর মাধ্যমে মুদ্রা
বিনিময় বা ফরেক্স করে থাকি। কিন্তু সার্বক্ষণিকভাবে আমরা যখন ফরেক্স
ট্রেডিং করব তখন বারবার প্রতিষ্ঠান সংগঠনগুলো থেকে এরকম বিনিময় করা
সম্ভব নয়। সব সময় যাতে সহজে ফরেক্স ট্রেডিং করা যায়। এজন্য বিভিন্ন ব্রোকার আমাদেরকে অনলাইনে মুদ্রা বিনিময় করার সুযোগ দিয়ে
থাকে।
একটি বিশ্বস্ত প্রকার একাউন্ট খুলে খুব সহজে অনলাইনে ফরেক্স
ট্রেডিং করা যায়। এবং আমরা খুব সহজে সেখানে কেনাবেচা করতে পারি। তাহলে
এবার জানি যে ঠিক কি কি সুবিধা প্রকার আমাদের দিয়ে থাকে,
তারা আমাদের সবসময় অনলাইনে মুদ্রা কেনাবেচা সুযোগ করে দেয়। যেটা
আমাদের একটি প্রাইমারি সুযোগ।
তাছাড়াও সমুদ্র এক্সচেঞ্জ রেট জানতে আমাদের সাহায্য করে।
এবং ওই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমাদের ট্রেডিং এবং ট্রেডে এনালাইসিস
এর সুযোগ পেয়ে থাকি।
এমনকি কম মূলধনের যাতে আমরা ফরেক্স ট্রেডিং করতে পারি এজন্য আমাদেরকে
লেভারেজ দিয়ে থাকে।
২০২৪ সালে মোবাইল এবং অনলাইনে টাকা ইনকাম করার বেশ কিছু অ্যাপ রয়েছে যা এখন
পর্যন্ত কার্যকরী বলে গননা করা হয়। তবে অ্যাপ গুলির সমস্যা হলো এগুলি
সাধারণত বেশিদিন থাকে না। যেহেতু এখন পর্যন্ত অ্যাপ গুলি কাজ করছে এবং
কার্যকর আছে তাই কয়েকটি অ্যাপ আমি আপনাদের সাজেস্ট করছি এবং টাকা ইনকাম
পদ্ধতিও উল্লেখ করছি।
Meesho App: রিসেইলিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়।
Telegram App: টেলিগ্রাম অ্যাপ দিয়ে চ্যানেল তৈরি করে সেখানে
অ্যাড করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার মিনিমাম
৫০০-১০০০ অ্যাকটিভ মেম্বার
থাকতে হবে।
Taka Income: বর্তমানসময়ে এই অ্যাপটি খুব জনপ্রিয় কারন
আন্ড্রয়েড ফোনে খুব সহজেই ইন্সটল করে নিতে পারবেন এবং সরাসরি
বিকাশের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।
Daily Taka: ঘরে বসে সহজে এই অ্যাপ দিয়ে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন।
Paidwork: ৫০০-১০০০ টাকা প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন এই
অ্যাপ এর মাধ্যমে এবং সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে টাকা তুলতে
পারবেন।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
আর্টিকেল লিখার কাজ করে মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করে ফেলা সম্ভব।
আবার বিদেশি ওয়েবসাইটে লেখক ও লেখকের লেখার মানের উপর ভিত্তি করে ৫-১০০০$
দিয়ে থাকে তবে সে জন্যে লেখককে ইংরেজিতে পারদর্শী হওয়া প্রয়োজন। এই কাজে
টাকা ইনকামের এখানে কোনো লিমিটেশন নাই। চাকুরী করলে যেমন একটি সীমাবদ্ধ
ইনকাম থাকে। ফ্রীল্যানসিং এ তেমন কোনো ধরা বাধা নাই।ফ্রীল্যানসিং এ আপনি
ঘরে বসে নিজের ইচ্ছা মতো সময়ে ইচ্ছা মতো কাজ করতে পারেন।
ব্লগিং করে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ও ইনকাম করা যাই। ব্লগিং হচ্ছে
এখনকার সব থেকে সহজ এবং ট্রেনডিং ফ্রিলান্সিইং সেক্টর। এই সেক্টরে
ইনকাম যেমন বেশি কাজ ও তেমন কম। আর এই সেক্টরে কাজের তেমন কোনো স্কিল
লাগেনা। নিজের মনের মতামত প্রকাশ করাই মূলত এর কাজ। তাই আপনি নির্ভয়ে
ব্লগিং শুরু করতে পারবেন। ব্লগ লেখালেখি করে ঘরে বসেই যদি ইনকাম করা যাই তাইলে এর থেকে আরামের
কাজ আর কি হতে পারে।
প্রতি মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা ইনকাম করার সব থেকে সহজ উপায় এই
ব্লগিং
। ব্লগ পোস্ট করে নিজের ওয়েবসাইট গুগল এর টপ লিস্ট এ থাকলে সেখান থেকে
ইনকাম করা যায়। এভাবে ব্লগ করে ইনকাম করা যায়।
ছাত্র অবস্থায় ব্যবসা করার আইডিয়া
ছাত্র অবস্থায় শুরু করা যায় এমন কয়েকটি ব্যবসার আইডিয়া দেওয়া হলো যা আপনি
আপনার সময় এবং সম্পদের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে করতে পারবেন।
অনলাইন টিউটোরিংঃ অনলাইনে আপনি আপনার পছন্দের সাবজেক্ট এর ক্লাস
নিতে পারেন এবং টিউশন করাতে পারেন
পণ্য বা সেবা বিক্রয়ঃ আপনি আপনার নিজস্ব পণ্য যেমন হাতের কাজের
জিনিস, বা DIY প্রডাক্ট, বিভিন্ন গাছ যেমন ঘর সাজানো ফুল, ফলের গাছ
ইত্যাদি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রয় করতে পারেন।
কন্সাল্টিং সার্ভিসঃ আপনি যদি কোন বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে থাকেন
তাহলে আপনি কন্সাল্টিং সার্ভিস চালু করতে পারেন।
ইভেন্ট প্ল্যানিংঃ স্কুল-কলেজ বাবিশ্ববিদ্যালয়
প্রাঙ্গনে আপনি ইভেন্ট প্ল্যানিং এর কাজ করতে পারেন। প্রায় প্রত্যেক
বিশ্ববিদ্যালয়ে কম বেশি কোনো না কোনো প্রোগ্রাম থাকেই। সেখানে আপনি
ইভেন্ট প্ল্যানিং এর কাজ করতে পারেন।
কোর্স এবং ওয়ার্কশপঃ আপনার কোন বিশেষ জ্ঞান থাকলে বা দক্ষতা থাকলে
আপনি সেই বিষয়ের ওপর কোর্স এবং ওয়ার্কশপ আয়োজন করতে পারেন।
ট্যুর ট্রিপ সংগঠিতঃ আপনি যদি ঘুরাঘুরি করতে পছন্দ করেন এবং প্রায়
ঘুরাঘুরি করতে যান তাহলে আপনি একটি ট্যুর ট্রিপ প্ল্যান করতে পারেন। আপনি
কয়েকজনকে একত্রিত করে ট্যুর গাইড হিসেবে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
প্রযুক্তি সেবা অফারঃ আপনি যদি প্রযুক্তি ভালোবাসেন এবং এই
সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি কম্পিউটার মেরামত বা সেটাপ,
সফটওয়ার ইন্সটলেশনের কাজ করতে পারেন।
ফুড ডেলিভারি সার্ভিসঃ ছোট আকারে ফুড ডেলিভারি সার্ভিস চালূ করতে
পারেন। এটি কম খরচে শুরু করা যেতে পারে এবং বন্ধু বান্ধব ও স্থানীয়
জনগনের মধ্যে খুব তাড়াতাড়ি ও সহজেই জনপ্রিয় হতে পারে।
স্টুডেন্ট অবস্থায় টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে লেখকের বক্তব্য
আমরা এই আর্টিকেলে মূলত স্টুডেন্টদের কথা চিন্তা করে কিছু ইনকাম এর উপায় নিয়ে
কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিভাবে কি করে শুরু করবেন, কেন করবেন, এসব নিয়েই
আজকেই এই ব্লগটি সাজানো। স্টুডেন্ট অবস্থায় টাকা ইনকাম করার বিষয়টি
বর্তমানে অনেকের কাছেই অনেক প্রয়োজনীয় আবার অনেকের কাছে আকর্ষনীয়। শিক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের চেষ্টায় উপরোক্ত কাজ গুলি করা
যেতে পারে।
এতে করে অভিজ্ঞতা অর্জন হবে, সময় ব্যবস্থাপনা বাড়বে, কর্মদক্ষতা
বাড়বে ও প্রফেশনাল লাইফ সম্পর্কে জ্ঞান আসবে। স্টুডেন্ট অবস্থাতেই কাজ শুরু
করলে সৃজনশীলতা ও উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি হবে। যা পরবর্তীতে ব্যাপক কাজে
আসবে। এছাড়াও নেটওয়ার্কিং বাড়বে। স্টুডেন্ট অবস্থায় টাকা ইনকাম টাকা করার একটি
উদ্দেশ্যমূলক প্রয়াস হলেও এটি আমাদের শিক্ষা ও ব্যক্তিত্ব উন্নয়নের অংশ
হিসেবে দেখা উচিত। সঠিক পরিকল্পনা ও ধৈর্যের সাথে আপনারা আপনাদের লক্ষ্য পূরণ
করতে পারবেন এবং ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম
হবেন।
মাই আর্টিকেল কুইল এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url