গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা - জাফরান ব্যবহারের নিয়ম

 

গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকের জানা নাই। কিন্তু আপনি কি জানেন, গর্ভাবস্থায় একজন মা ও শিশুর সঠিক পুষ্টি এবং শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে জাফরান ব্যাবহার করা যেতে পারে।

গর্ভাবস্থায়-জাফরান-খাওয়ার-১৫টি-উপকারিতা-জাফরান-ব্যাবহারের-নিয়ম

হজমের সমস্যা থেকে মানসিক চাপ কমাতে গর্ভাবস্থায় প্রতিটি ধাপে জাফরান অনেক উপকারি ভূমিকা পালন করে থাকে। চলুন তবে আপনাদের জানিয়ে দেই জাফরান ব্যাবহার ও খাওয়ার নিয়মগুলি,

পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা - জাফরান ব্যাবহারের নিয়ম

গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার উপকারিতা

জাফরান বিশ্বের অনেক মূল্যবান একটি উপাদান বা মশলা। এটি খুব কম সংখ্যক দেশে পাওয়া যায়। এটি মূলত ইরান, ভারত, স্পেন এবং গ্রিসের মতো দেশগুলোতে উৎপাদিত হয় স্বল্প পরিসরে। জাফরানে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, সি এবং ম্যাঙ্গানিজ, যা গর্ভবতী নারীদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি উপাদান।

কেন জাফরান গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী

জাফরান শুধু একটি মশলা নই, এটি প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবেও পরিচিত। কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ আরো অনেক উপাদান যা শারীরিক অসুস্থতা নিরাময়ে সাহায্য করে, যা প্রাচীনকাল থেকে মানুষ ব্যাবহার করে আসছে। চলুন আপনাদের তবে জানিয়ে দেই গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার উপকারিতা,

মানসিকভাবে ভালো রাখেঃ গর্ভবতী নারীদের গর্ভাবস্থায় সাধারণ সমস্যা হলো মানসিক চাপ বা ডিপ্রেশন, যা হরমোন পরিবর্তনের ফলে হয়ে থাকে। জাফরান প্রাকিতিকভাবে সেরোটোনিন বাড়িয়ে দেয়, যা তাদের মুড ভালো রাখতে সাহায্য করে।

হজমশক্তি এর উন্নতি করেঃ গর্ভাবস্থায় শরীরে অ্যাসিডিটি এর পরিমাণ বেড়ে যায়। জাফরান অ্যাসিডিটি কমাতে এবং হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ জাফরানে রয়েছে পটাসিয়াম ও ক্রোসিন, যা শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখতে সহায়তা করে।

অ্যানিমিয়া প্রতিরোধঃ জাফরানে রয়েছে আয়রন, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। যার ফলে অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ হয়, যা গর্ভাবস্থায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

মাংসপেশীর ব্যাথা কমাতেঃগর্ভাবস্থায় অনেকের মাংসপেশী ও কোমর ব্যাথা হতে পারে। জাফরানে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুন যা মাংসপেশীর ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়ঃ গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়। জাফরান ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।

গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার উপকারিতা থাকলেও, জাফরান গ্রহণ করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করবেন। অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে বিপদজনক হতে পারে।

গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে জাফরান এর উপকারিতা
গর্ভাবস্থার শুরুর প্রথম ১২ সপ্তাহকে প্রথম ত্রৈমাসিক হিসেবে গণ্য করা হয়। যা গর্ভবতী মাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং একটি সময়। এই সময় সাধারণত তাদের হটাৎ করে শরীরের হরমোন পরিবর্তনের জন্য অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমনঃ বমি বমি ভাব এবং মর্নিং সিকনেস। এসব অসুবিধা থেকে রক্ষা পেতে জাফরান সাহায্য করে থাকে।

বমি বমি ভাব এবং মর্নিং সিকনেস কমাতে কিভাবে জাফরান সাহায্য করে
বমি বমি ভাব এবং মর্নিং সিকনেস গর্ভাবস্থায় একটি খুব সাধারণ বিষয়। প্রতিদিন সকালে ২-৩টি জাফরান গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন। আপনার সমস্যার সমাধান হবে কারণ জাফরানে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ আরো অনেক উপাদান যা শরীরকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।

হরমোন নিয়ন্ত্রণে জাফরানের ভূমিকা কি
প্রথম ত্রৈমাসিক গর্ভবতী মা দের হরমোন জনিত পরিবর্তনগুলো শরীরে বিভিন্নভাবে প্রবাহিত করে। এই সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য জাফরান অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তার জাফরানে বেশি কিছু উপাদান রয়েছে যেমন ক্রোসিং এবং স্যাফরানাল যা হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রোল্যাকটিন এবং প্রোজেস্টেরন এর মত হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে জাফরান, যা মায়ের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জাফরান এর উপকারিতা

গর্ভাবস্থার ১৩ থেকে ২৮ সপ্তাহ পর্যন্ত সময়কালকে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি মায়েদের জন্য তুলনামূলক আরামদায়ক একটি সময়। বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা যায় যেমন পেশির খিঁচুনি, হজমে সমস্যা ইত্যাদি। এগুলো সমস্যা থেকেও জাফরান আপনাকে সহায়তা করতে পারবে। চলুন তবে জেনে নেই,
গর্ভাবস্থায়-জাফরান-খাওয়ার-১৫টি-উপকারিতা-জাফরান-ব্যাবহারের-নিয়ম

পেশির খিচুনি ও ব্যথা কমাতে জাফরান এর ব্যবহার
গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে পেশীর খিচুনি বা ব্যথা একটি অন্যতম সাধারণ সমস্যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য। জাফরানের প্রদাহ বিরোধী গুণাগুণ থাকার কারণে বেশি খিচুনি ও ব্যথা কমাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করে থাকে। 

পেটে সমস্যার উপশমের সহায়ক জাফরান
গর্ভাবস্থায় হজম সমস্যা এবং পেটের এসিডিটি সমস্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা শরীরে অস্বস্তিকর এটি অবস্থা সম্মুখীন করে থাকে। গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার উপকারিতা হলো গ্যাস্টিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং হজমের সমস্যা কমায়।

গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জাফরান এর উপকারিতা

গর্ভাবস্থার ২৯ থেকে ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয় তৃতীয় ত্রৈমাসিক। এ সময় মায়াতে শরীরে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। এ সময় শিশুদের গ্রোথ অনেক বেশি থাকে। জাপানি সময় মায়ের জন্য বেশ কিছু উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে জাফরান
জাফরানে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ উপাদান যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে। এই সময় অনেক মা রক্তচাপ সমস্যায় ভোগেন যা প্রিক্ল্যাপসিয়া এর ঝুঁকি বাড়ায়।

হজম ও পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সহায়ক জাফরান
তৃতীয় ত্রৈমাসিকে হজমের সমস্যা সবচেয়ে বেশি গুরুতর হতে পারে। গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার উপকারিতা হলো জাফরান গ্যাস্ট্রিকের এনজাইমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে যার ফলে পেটের গ্যাস ও অস্বস্তি এবং হজম ক্ষমতা সহজ করতে সহায়তা করে। 

জাফরান ব্যাবহারের সঠিক নিয়ম

উপরে আলোচনা থেকে এতক্ষণে এটি বুঝতে পেরেছেন যে গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার উপকারিতা এবং এর ব্যবহার অনেক স্বাস্থ্যকর হতে পারে। তবে সঠিক নিয়মে মেনে চলা খুবই জরুরী কারণ অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে এটি বিপদজনক হতে পারে। তাই ডাক্তারি প্রমোশন এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ মেনে জাফরান গ্রহণ করা উচিত। চলুন আমি আপনাদের জাফরান ব্যবহারে সঠিক নিয়ম সম্পর্কে কিছুটা আলোচনা করি,

    পরিমাণঃ গর্ভাবস্থায় দৈনিক তিন থেকে পাঁচটি জাফরান খাওয়া নিরাপদ। এর বেশি গ্রহণ করলে             শরীরে তাপমাত্রার বৃদ্ধি পাবে যা গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। 
    জাফরান দুধে মিশিয়ে পান করাঃ জাফরান দুধে মিশিয়ে খাওয়া গর্ভবতী মায়েদের জন্য অনেক         উপকারী একটি খাদ্য।
    পদ্ধতিঃ দুই থেকে তিনটি জাফরান এক কাপ গরম দুধের ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজে রাখুন। এরপর        দুধটি পান করুন।
    সময়ঃ গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক থেকে জাফরান দুধ খাওয়া নিরাপদ। প্রথম জাফরান এড়িয়ে চলা     ভালো কারণ এই সময় অতিরিক্ত তাপ গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াঃ দুধ ছাড়াও জাফরান আরো অনেক খাবারে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। পায়েস মিষ্টি পোলাও বিরিয়ানি খাওয়া যায়।
জাফরান চাঃ দুই থেকে তিনটি জাফরান গরম পানির সাথে ১০ মিনিট ফুটিয়ে মধু সাথে মিশিয়ে পান করুন। এটি মানসিক চাপ ও হজম প্রক্রিয়া উন্নত করবে।

গর্ভাবস্থায় জাফরান গ্রহনের সময় সতর্কতা 

১. জাফরান অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণের ফলে যারা সংযোজন ঘটে যা গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। দৈনিক তিন থেকে পাঁচটির বেশি জাফরান খাওয়া যাবেনা।
২. গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহ জাফরান এড়িয়ে চললে ভালো হয় কারণ এটি শরীয়ত তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা গর্ভপাতের ঝুঁকে বাড়িয়ে দেয়।
৩. যে কোন নতুন খাবার বা মসলা খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম এখন অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত। গর্ভাবস্থায় জাফরানের অনেক উপকারী দিক থাকলেও অতিরিক্ত সেবনের কারণে এর উপকারের বদলে অপকারিতা বা ক্ষতির প্রভাব বেশি হতে পারে। চলুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার অপকারিতা কি, 
দিনে ৩ থেকে ৫টি জাফরানের বেশি গ্রহণ করলে অনেক বিপদজনক অবস্থার সম্মুখীন হতে পারেন। কারণ অতিরিক্ত সেবনের ফলে জরায়ু সংকোচন ঘটে এবং শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই সেবনের পূর্বে অবশ্যই জাফরান খাওয়ার সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকা লাগবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ মত জাফরান গ্রহণ করতে হবে। 

গর্ভাবস্থার জাফরান খেলে কি বাচ্চা ফর্সা হয়

অনেকের মধ্যে প্রচলিত একটি মিথ আছে যে গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে নাকি বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হবে। বিশেষ করে ভারত উপমহাদেশে এটি বিশ্বাস করে থাকে। তবে বিজ্ঞানসম্মতভাবে এই ভিত্তির কোন প্রমাণ নেই। জাফরান খাওয়ার ফলে শিশুর ত্বকের রং পরিবর্তন হবে না। বাচ্চা তোকে এবং মূলত নির্ভর করে জেনেটিক ফ্যাক্টর এর উপর।
গর্ভাবস্থায়-জাফরান-খাওয়ার-১৫টি-উপকারিতা-জাফরান-ব্যাবহারের-নিয়ম
গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার উপকারিতা থাকলেও জাফরান খেলে যে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হবে সেটি পুরোই ভিত্তিহীন।

জাফরান খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়

জাফরান এর মধ্যে কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারে। এটি এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, তাই এটি ত্বকে ফর্সা করতে না পারলেও ত্বকের স্বাস্থ্য ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। মুখের কালো দাগ, রোদে পোড়া ভাব, ব্রণ দূর করতেও সাহায্য করে। তবে ফর্সা করে সেটার কোন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ নেই।

গর্ভাবস্থার কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

বাচ্চার ত্বকের রং নির্ভর করে মূলত জেনেটিক ফ্যাক্টর এর উপর ভিত্তি করে। কোন খাবার বা তরল কোন বাচ্চার গায়ের রং পরিবর্তন করতে সাহায্য করে না। যদি এটি কেউ বলে থাকে তবে তার ধারণা ভুল কারণ এ ব্যাপারে বৈজ্ঞানিকভাবে কোন প্রমাণ নেই। তবে গর্ব অবস্থায় যদি আপনি সঠিক পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করেন তবে শিশুর স্বাস্থ্য ও মানসিক উন্নতি হবে।

গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মায়ের উচিত শাক-সবজি, ফলমূল, বাদাম এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যাতে মা ও শিশু স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়া নিয়ে লেখকের বক্তব্য

জাফরান একটি প্রাচীন উপকারী ভেষজ মসলা। যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য অনেক উপকারী। হজম প্রক্রিয়া উন্নত করা, মানসিক চাপ কমানো, পেশির ব্যথা নিরাময় করা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি জাফরান গ্রহণ করার অন্যতম উপকারি দিক। তবে এর যেমন উপকারের দিকে হয়েছে তেমনি অতিরিক্ত সেবনের ফলে অপকারী দিকও রয়েছে।

অতিরিক্ত জাফরান গ্রহণের ফলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে তাই এটি গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অনেক আগে থেকেই একটি প্রচলিত মিথ রয়েছে যে জাফরান খাওয়া ফলে শিশুর ত্বকের রং ফর্সা হয়। এটি বৈজ্ঞানিকভাবে কোন প্রমাণ নেই। তবে জাফরান সঠিক পরিমাণ গ্রহণ করার ফলে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য অনেক ভালো থাকে। সর্বোপরি এটি গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাই আর্টিকেল কুইল এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url