কামব্যাক এ হেরে গেলেন টাইসন - কি হয়েছিল সেই ম্যাচে
মাইক টাইসন বনাম জেক পল লড়াইটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে। দীর্ঘ এক অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে বক্সিং প্রেমীদের। ৫৮ বছর বয়সী হেভি ওয়েট চ্যাম্পিয়ন মাইক টাইসন এর বিপরীতে ২৭ বছর বয়সী তরুণ বক্সার জেক পল এর লড়াই সংঘটিত হতে চলেছে।
আজকের এই ব্লগে আমরা বক্সিং ম্যাচটির ফলাফল এবং এর পিছনের কিছু ইতিহাস সম্পর্কে জানবো।
সূচিপত্রঃ মাইক টাইসন বনাম জেক পল - কে পেলো বিজয়ীর খেতাব?
মাইক টাইসন ও তার ইতিহাস
বক্সিং খেলা যারা দেখেছেন বা দেখেন তারা নিশ্চয়ই মাইক টাইসন এই নামটি সম্পর্কে জানেন। আমেরিকার ৫৭ বছর বয়সী মাইক টাইসন বক্সিং রিং এ প্রবেশ করছেন প্রায় ২০ বছর পরে। তার কাছে যেন বয়সটি নিছকই একটি সংখ্যা মাত্র। এ বয়সেও তিনি তার ফিটনেস যেভাবে ধরে রেখেছেন তা অতুলনীয়।
তিনি একজন কিংবদন্তি অবসরপ্রাপ্ত বক্সার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যিনি রিং এ প্রবেশ করার সাথে সাথেই ঝড়ের গতিতে প্রতিপক্ষকে নক আউট করে ফেলতেন। তার কাছে রয়েছে অনেক গুলি খেতাব যেমন WBA, WBC, IBF ইত্যাদি। এছাড়াও টাইসনের রয়েছে কনিষ্ঠ হেভিওয়েট উইনিং খেতাব।
প্রথম রাউন্ডেই ৯১ সেকেন্ডে মাইকেল স্পিংকস কে নকআউট করার মত রেকর্ডও তার রয়েছে। ৫৮ টি ম্যাচের মধ্যে ৫০ টিতেই তিনি বিজয়ী হন এবং ৪৪ টি ম্যাচে তিনি ডাইরেক্ট নকআউট করে বিজয়ী হন। তিনি মাত্র ছয়টি ম্যাচ হেরেছেন এবং দুইটি কোন কনটেস্টেন্ট ছিল না।
তিনি একজন অর্থডক্স বক্সার। ২০ বছর পর আবার ফেরত এসেছেন যার ফলেই দর্শকের এত আগ্রহ এই ম্যাচটি নিয়ে। বেশ অনেকদিন ধরেই তার সোশ্যাল মিডিয়া তে তার প্রস্তুতি নিয়ে অনেকগুলি ভিডিও ও ছবি প্রকাশিত হয় তাতেই আঁচ করা যাচ্ছে এই ম্যাচটি হতে চলেছে রোমাঞ্চকর ও টানটান উত্তেজনামূলক। হয়তো এই ম্যাচটি সাক্ষী থাকবে ইতিহাসের কোন এক সাক্ষী হিসেবে।
জেক পল ও তার ইতিহাস
মাইক টাইসন এক অনন্য ও অতুলনীয় শক্তিশালী অধিকারী হলেও তার বিরুদ্ধে যিনি লড়াই করছেন তিনিও কোন অংশে কম নন। জেক পল হেভি ওয়েট ক্যাটেগরির এক প্রতিভাবান বক্সার। টাইসন এর জন্য ম্যাচটি কোনভাবেই সহজ হতে যাচ্ছে না। হতে পারে পল তার চেয়ে ৩০ বছরের ছোট একজন প্রতিদ্বন্দ্বী।
তবে পল কোন অংশেই কারো থেকে কম নয়। পল তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর কোন রহম করে না। তার খেলার স্ট্রেটেজি অত্যন্ত নিখুত ও ভিন্নধর্মী। জেক ফর একজন আমেরিকান প্রফেশনাল বক্সার অ্যাক্টর এবং ইউটিউবার।
তিনি বক্সিং ছাড়াও তোর ক্যারিয়ার শুরু করেন ভিডিও পোস্টিং এর মাধ্যমে। তার জন্ম ১৭ জানুয়ারি, ১৯৯৭। তিনি ক্রুজারওয়েট ডিভিশনে খেলেন। তার সাইট রেকর্ড ১০-১। সুতরাং বুঝতেই পারছেন পল কে নকআউট করা কোন সহজ ব্যাপার নয়।
খেলার সময় নিয়মাবলি
টাইসন ও পলের এই ম্যাচটি কিছুটা পরিবর্তিত নিয়মে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পরিবর্তন দেখা যায় তাদের গ্লাভসে। যেহেতু মাইক টাইসন ও জেক পলের বয়সের বিশাল এক ব্যবধান রয়েছে তাই তাদের গ্লাভসের ওজন কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। তারা দুজনেই ১৪ আউন্সের গ্লাভস পড়ে খেলবেন।
তবে সাধারণ নিয়ম অনুসারে ১০ আউন্ডসের গ্লাভস পড়ে খেলা হয়। গ্লাভস ভারী হলে প্রত্যেকটি পাঞ্চ এর তীব্রতা কিছুটা কম হয়। এছাড়াও মোট আটটি রাউন্ড খেলা হবে যার প্রত্যেকটিতেই ২ মিনিটের সময় থাকবে। অর্থাৎ প্রতিটি রাউন্ড হবে দুই মিনিট করে। যেটা আমরা সাধারণত তিন মিনিটের খেলা দেখি। তবে এই ম্যাচটিতে এক মিনিট কমিয়ে দুই মিনিটে নিয়ে আসা হয়।
মাইক টাইসন বনাম জেক পল ম্যাচটির সময়সূচী
মাইক টাইসন বনাম জেক পল এর বক্সিং ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টেক্সাস এর আর্টলিংটনের (AT&T) স্টেডিয়ামে। ইভেন্টের মূল কার্ডটি রাত ৮টায়(ET) এ শুরু হবে। এটি নেটফ্লিক্সে স্ট্রিমিং করা হবে। টাইসন বনাম পল এই ম্যাচটি দেখতে হলে আপনার নেটফ্লিক্স সাবস্ক্রিপশন থাকা জরুরী। কারণ ম্যাচটি সরাসরি নেটফ্লিক্স স্ট্রিম করবে।
আপনার যদি নেটফ্লিক্স সাবস্ক্রিপশন না থাকে তবে তা ডলারের মাধ্যমে ক্রয় করতে পারেন। এছাড়াও যদি ডলার না থাকে তবে কিছু কিছু ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেইজ রয়েছে যারা এই ওটিটি প্লাটফর্ম গুলির সাবস্ক্রিপশন কেনাবেচা করে। তাদের থেকে খুব সহজেই বিকাশ নগদ বা রকেটের মাধ্যমে মিনিটেই ক্রয় করতে পারেন। নেটফ্লিক্স ছাড়া আর অন্য কোথাও আপনি এই ম্যাচটি দেখতে পাবেন না।
টাইসন ও পলের ক্যারিয়ার রেকর্ড
টাইসন তার জীবনকালে ৫৮ টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন তাতে ৫০ টি ম্যাচ তিনি জয়ী হন এবং ৬টিতে তিনি পরাজিত হন। অপরপক্ষে জেক পল অংশগ্রহণ করেন ১০টি ম্যাচে। এরমধ্যে তিনি একটি ম্যাচে পরাজিত হন। সুতরাং বুঝা যাচ্ছে দুইজনের জিতের অনুপাত কাছাকাছি একই। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে জেক পল একাকী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
মাইক টাইসন বনাম জেক পল ম্যাচে কে জিতবে?
বিভিন্ন বেটিং অ্যাপ যেমন BetMGM এর অনুসারে পল এর জয়ী হওয়ার সম্ভাবনার স্কোর -১৯০ odds অপরপক্ষে টাইসন এর +১৮৮ অর্থাৎ তিনি আন্ডারডগ। কয়েক মাস আগে odds এর অনুযায়ী পল ছিল -২৭৫। অর্থাৎ সেই সময় থেকেই মানুষ টাইসনের পক্ষে বাজি ধরেছেন। শতকরায় ৭৬ ভাগ মানুষ টাইসনের পক্ষে বাজি ধরছেন। সব থেকে বেশি বাজি ধরার তিনটি ফলাফল
১. মাইক টাইসন KO/TKO বা DQ দ্বারা জয়ী হবে (+২৫০)
২. মাইক টাইসন পয়েন্টে জয়ী হবে (+১১০০)
৩. মাইক টাইসন প্রথম রাউন্ডে জয়ী হবে (+১৪০০)
কি হয়েছিল সেই ম্যাচে
FAQ
৩. মাইক টাইসন বনাম জেক পল লড়াইয়ে কে বিজয়ী হবে ?
৪. জেক পল এর ক্যারিয়ার রেকর্ড ?
মাই আর্টিকেল কুইল এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url